পশ্চিমের জেলায় ৯-১০ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছাতে পারে তাপমাত্রার পারদ। শীতের দ্বিতীয় ইনিংস ৫-৬ দিন স্থায়ী হতে পারে, জানা যাচ্ছে এমনটাই। তবে পার্বত্য এলাকা যেমন দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও বাকি বঙ্গে কোথাও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। জলীয় বাষ্পের প্রভাবও কাটতে শুরু করবে বুধবার বিকেলের পর থেকেই। মূলত শুষ্ক থাকবে আবহাওয়া। আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গ ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?
বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। বাড়বে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। সপ্তাহের শেষে আরও একবার শীতের ঝোড়ো ইনিংসের সম্ভাবনা রয়েছে। সকালে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা ও ধোঁয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। পরে পরিষ্কার থাকবে আকাশ। নেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৩ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪৩ শতাংশ।
কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?
শুক্রবার থেকে পারদ পতনের সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। পশ্চিমের জেলা সহ গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র এই মুহূর্তে রাতের তাপমাত্রা বেশি। কিন্তু, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা তার নীচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল এবং নদিয়া, মুর্শিদাবাদ জেলায় সকালে ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। মূলত শুষ্ক থাকবে আবহাওয়া।
কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?
বুধ ও বৃহস্পতিবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পার্বত্য উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে যাবে। ফলে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পঙে। বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য ও সমতলের জেলার তাপমাত্রা গড়ে তিন ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলাতে।