এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের হয়ে এখনও মামলা লড়ছেন কিশোর দত্ত। সেই তারণেই এই মামলায় রাজ্যের আইনজীবী হিসাবে সওয়াল করতে পারবেন না তিনি, এদিন এমনটাই স্পষ্ট করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি যে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এই দুর্নীতির মামলায় কোনও এক অভিযুক্তের আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়ছেন। যদি এটা হয় তাহলে সরাসরি একটা স্বার্থের দ্বন্দ্ব (কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট) তৈরি হচ্ছে। এই জন্য আমি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ডেকে পাঠিয়েছি।’
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, তিনি এখনও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর আইনজীবী হিসেবে মামলা করছেন। এরপরেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে উদ্দেশ করে মন্তব্য করেন, ‘সেক্ষেত্রে তো আপনি এই মামলায় রাজ্যের আইনজীবী হিসেবে লড়তে পারবেন না। কারণ সুবিচার শুধু করলেই হবে না, মানুষকে তা অনুভব করতে হবে।’
উল্লেখ্য, রাজ্য নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তোলপাড়। কিছুদিন আগেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করা হয়েছে। এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এরপরেই তৎপর হয় ED। SSKM হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
এর আগেও তাঁর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হয় ED-র তরফে। কিন্তু, তিনি অসুস্থ থাকার কারণে SSKM হাসপাতাল থেকে তাঁকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। এই নিয়ে ইডি এবং এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল বিস্তর। তবে সম্প্রতি বিচারপতি অমৃতা সিনহা কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করার অনুমতি দেন।
এরপরেই তাঁকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে তাঁর গলার স্বর পরীক্ষা করা হয়। প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে রাজ্যে দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনৈতিক মহল। কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এজেন্সি রাজনীতির অভিযোগ এনেছে রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতারা। এজেন্সি স্বতন্ত্রভাবে কাজ করছে বলে মন্তব্য তাঁদের।