West Bengal Police: বাস চালানোয় গলায় জুতোর মালা, ধৃত ২ – bardhaman police arrest two track driver for harassment of bus driver


এই সময়, বর্ধমান: আন্দোলনের নামে কোনও বাসচালক বা অন্য কোনও গাড়ির চালককে মারধর করা বা হেনস্থা করা হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং পূর্ব বর্ধমানের সমস্ত থানায় মঙ্গলবার কার্যত এই মর্মেই নির্দেশ পাঠিয়েছেন। আর এর পরেই সক্রিয় হয়েছে পুলিশ। এদিন সকালেই গলসির একটি ঘটনায় দুই চালককে হেনস্থা করার অভিযোগে আন্দোলনকারী দুই ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে। পুলিশ সুপারের বক্তব্য, ‘একই ভাবে এবার সব থানাই অ্যাকশন নেবে। নিজের দাবি আদায়ে অন্যকে মারধর করা, অপমান করার অধিকার কারও নেই।’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে নয়া হিট অ্যান্ড রান আইনের বিরোধিতায় গলসির গলিগ্রামে আচমকা জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে শুরু করে কয়েকজন লরিচালক। অভিযোগ, সেই অবরোধে অন্য গাড়ির চালকরা সঙ্গ না-দিলে ভয় দেখানোর পাশাপাশি মারধরের হুমকি দেয় তারা। সে সময় এসবিএসটিসি-র একটি বাসের চালক ও অন্য একটি লরির চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে চূড়ান্ত হেনস্থা করে ওই অবরোধকারীরা। তাঁদের গলায় জুতোর মালা পরানো হয়।

খবর পেয়ে গলসি থানার ওসি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’জন অবরোধকারীকে ধরে ফেলেন। বাকিরা পালিয়ে যায়। ধৃতদের নাম নয়ন ওরফে ভুটু মেটে ও শেখ নবাব শরিফ। নয়নের বাড়ি গলিগ্রামে। নবাব শরিফ মথুরাপুরের বাসিন্দা। ধৃতদের মঙ্গলবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার আমনদীপ সিংয়ের বক্তব্য, ‘আন্দোলন করতে হলে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই করতে হবে। এ ভাবে রাস্তায় বাস বা লরি থেকে চালকদের নামিয়ে তাঁদের মারধর করা, জুতোর মালা পরানোর মতো অনৈতিক কাজ করলে পুলিশ কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে। গলসি থানা শক্ত হাতেই এদিন মোকাবিলা করেছে।’

গত কয়েকদিন ধরেই নতুন পরিবহণ আইনের বিরোধিতা করে লরি, ট্রাক চালকরা রাস্তায় বাস বা অন্য গাড়ি দাঁড় করিয়ে অন্য গাড়ির চালকদের নানা ভাবে হেনস্থা করছে। এসবিএসটিসি-র দুর্গাপুর ডিপোর চালক অশোক বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা সরকারি চাকরি করি। সরকারের নির্দেশেই আমরা ডিউটি করতে বেরিয়েছি। এখন রাস্তায় আমাদের ধরে এ ভাবে হেনস্থা করা হলে আমরা কী করব? বেছে বেছে আমাদের উপরেই হামলা চালানো হচ্ছে।’

Bus Strike : লরি-ট্রাকের বিক্ষোভে না থাকায় মার, প্রতিবাদে বাস বন্ধ বর্ধমানে
ধানবাদ থেকে আসা এক লরিচালক সুরেশ প্রকাশের কথায়, ‘আইন হলে সেটা আমাদের জন্যও বিপদের। কিন্তু আন্দোলনের নামে এ ভাবে রাস্তায় মারধর করা, আমাদের কাছে আরও ভয়ের।’ উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে রায়না থানা এলাকাতেও হেনস্থা করা হয়েছিল এক বাসচালককে। সেই ঘটনাতেও একজনকে গ্রেপ্তার করে রায়না থানার পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *