জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত এক বছরে সর্বাধিক। ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ জন। যার ফলে রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা পার করল ২০০-র গন্ডি। যার বেশিরভাগ-ই কলকাতায়। আগামী কয়েক সপ্তাহে কোভিড সংক্রমণের এই গ্রাফ আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বিশেষজ্ঞরা এটাও আশ্বস্ত করেছেন যে, স্বাস্থ্যবানদের মধ্যে সংক্রমণ ততটাও মারাত্মক আকার ধারণ করবে না। কিন্তু যাদের কোমরবিডিটি রয়েছে, তাদের জন্য এটা উদ্বেগের।
৩ সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর তারপর কমবে সংক্রমণের গ্রাফ। এই মুহূর্তে JN.1 সাব-ভ্যারিয়ান্টের জন্যই সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই সংক্রমণের ফলে মৃত্য়ু হার বাড়বে না। আশ্বস্ত করছেন তাঁরা। প্রায় এক বছর মত সময় রাজ্যে দৈনিক কোভিড সংক্রমণ ছিল দশের নীচে। গত ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ রাজ্যে দৈনিক কোভিড সংক্রমণ ফের দশের গন্ডি পার করে। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হন ১৪ জন। তারপর থেকে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ দশের আশপাশেই ছিল। বুধবার একলাফে সেই সংখ্যাটা পৌঁছে যায় ২৭-এ। যারফলে রাজ্য়ে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২১৩।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে কলকাতায় কোভিডে প্রাণ হারান একজন। মৃত্যু হয় কোভিড আক্রান্ত এক বৃদ্ধের। কোমর্বিডিটিতে ভুগছিলেন বছর সত্তরের ওই বৃদ্ধ। মৃত্যুর পর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ ফের মাথাচাড়া দিতেই সরকারি হাসপাতালে কোভিড পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ টিম তৈরির নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যসচিব। ওদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১৪ জন। প্রাণ হারিয়েছে ৩ জন। এখনও পর্যন্ত ৮১৯ জনের দেহে JN.1 সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে।
তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বৃহস্পতিবার আশ্বস্ত করে জানিয়েছে যে, দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী। আগের দিনের ৩,৬৪৩ থেকে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩,৪২২-এ। ওদিকে তিনটি মৃত্যুর মধ্যে দুটি মৃত্যু ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। আরেকটি ঘটনা কর্ণাটকের। এরফলে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৪০৯-এ।
আরও পড়ুন, Covid 19: করোনার সময়ে এই ওষুধের ব্যবহারে মৃত্যু হয়েছে ১৭০০০ রোগীর, বলছে গবেষণা
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)