ITI College : ছাদ থেকে পড়ে রহস্যমৃত্যু আইটিআই-ছাত্রের, তদন্ত – iti student lost life after falling from roof haldia police start investigation


এই সময়, হলদিয়া: ছাদ থেকে পড়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হলো এক আইটিআই-ছাত্রের। ঘটনাটি হলদিয়ার গান্ধীনগরের। মৃত ছাত্র সৌমেন দাসের (১৮) বাড়ি হলদিয়ারই দেভোগে। তিনি কাঁথির একটি আইটিআই কলেজে পড়াশোনা করতেন। মঙ্গলবার রাতে গান্ধীনগরের একটি মেস বাড়ির সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, মেসের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে সৌমেনের। তবে কী ভাবে তিনি চার তলার ছাদ থেকে পড়ে গেলেন, তা নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ।

২৬ নম্বর ওয়ার্ডে গান্ধীনগরের ওই মেস বাড়ির চার তলায় কয়েকজন ছাত্র থাকেন। সৌমেন সেখানকার আবাসিক ছিলেন না। তবে যাঁরা থাকেন, তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল তাঁর। মাঝেমধ্যেই মেসে যেতেন তিনি। মঙ্গলবার এক বন্ধুর বাড়িতে ফিস্ট করার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু তা বাতিল হওয়ায় বন্ধুরা মিলে রাতে মেসেই মাংস রান্নার ব্যবস্থা করেন।

সৌমেনের কাকা ত্রিদেব দাস জানান, সৌমেন ছিলেন ভেজিটেরিয়ান। তাঁর বাবা রাজকুমার দাস একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। কাজের জন্য বাইরে ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পাশে একটি অনুষ্ঠানে খাওয়াদাওয়া সেরে বাড়িতেই ছিলেন সৌমেন। কাকা জানান, বিকেল পাঁচটা নাগাদ মেসের তিন বন্ধু সৌমেনের বাড়িতে মোটরবাইক নিয়ে গিয়ে খানিকটা জোর করেই তাঁকে ফিস্ট হবে বলে মেসে নিয়ে যান।

ত্রিদেব বলেন, ‘মাংস রান্না হবে শুনে ভাইপো যেতে চাইছিল না। তবু তিন বন্ধু একরকম জোর করেই নিয়ে যায় ওকে।’ তাঁর কথায়, ‘রাত ১০টা নাগাদ আমরা ঘটনার খবর পাই। তবে কী ভাবে ও চারতলা থেকে পড়ে গেল, সেটা বুঝতে পারছি না। পুলিশের কাছে যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছি।’

পুলিশ মেসটির সাত আবাসিককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পাণ্ডে বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে দুর্ঘটনা বলে অনুমান করা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

তিনি জানান, মেসের রুমে যখন বন্ধুরা রান্না করছিলেন, সৌমেন তখন ছাদের রেলিংয়ে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন। তখনই তিনি নীচে পড়ে যান বলে মনে করা হচ্ছে। বন্ধুরা তাঁর খোঁজ করতে গিয়ে সৌমেনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে পুলিশ ঘটনাটির সবদিক খতিয়ে দেখছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *