রুদ্রনীলের ছড়ার সঙ্গে হাতে তালি দিয়ে তাল দেন সভায় উপস্থিত বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, ছড়ার মধ্যে দিয়ে নাম না করে তিনি হয়ত, তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করলেন।
রুদ্রনীল ঘোষ এদিন বলেন, ‘যখন তৃণমূলীরা এই রাজ্যে লুটপাট শুরু করেছে তখন নাকি মুখ্যমন্ত্রী নিদান দিয়েছিলেন বিজেপি ভোট চাইতে এলে বাড়ির মহিলারা যেন হাতা,খুন্তি দিয়ে প্রতিবাদ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সুযোগ আসেনি, তাই হয়ত তিনি জানেন না, বাড়ির মায়েরা হাতা খুন্তি দিয়ে কী কাজ করেন!’
মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে এই বিজেপি নেতা আরও বলেন, ‘আপনি তো হাতে ২ লাখ টাকার মোবাইল নিয়ে ঘোরেন, আপনি তো পায়ে ১০ হাজার টাকার হাওয়াই চটি পরেন, আপনি তো ১ লাখ টাকার শাড়ি পরেন, আপনি বলেন মাইনে নিই না, শুধু জানতে ইচ্ছা করে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আপনি পাহারাদার হয়ে গিয়েছেন, মানুষের নয়, আপনি পাঠিয়েছেন দুয়ারে দূত নয়, দুয়ারে ভূত, সেই ভূত দুয়ারে গিয়ে ঘাড় মটকেছে মানুষের।’
যদিও বিজেপির এই সভাকে পালটা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতা সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি হতাশাগ্রস্ত একটি দল, মুখ্যমন্ত্রী মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছেন। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব পশ্চিমবাংলায় এসে বসেছিল, কাজের কাজ কিছুই হয়নি, এক কথায় বলতে গেলে বিজেপি বলতে কোন কিছুর অস্তিত্বই নেই।’
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারকে নিশানা করে ছড়া তৈরি করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে যথেষ্টই। পালটা আবার জবাব দিতে শোনা গিয়েছে তৃণমূলকেও। যদিও তাতে অবশ্য কোনওভাবেই দমে যাননি রুদ্রনীল। একের পর এক কবিতার মধ্যে দিয়ে শাসকদল ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে শানিয়ে গিয়েছেন আক্রমণ। এদিনও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। তাঁর কবিতা এদিন উপভোগ করলেন উপস্থিত বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা।