হাতে অস্ত্র থাকলেও এলাকা ছেড়েছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। এই ঘটনার পর মাঝে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকদিন। কিন্তু, বঙ্গ রাজনীতিতে এই নিয়ে আলোচনা বহাল থেকেছে।
শুক্রবার সাত সকালে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী এবং অন্যতম হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সুজিত বসুর বাড়িতে হাজির হয় ED। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই এই তল্লাশি। উল্লেখযোগ্যভাবে, এদিন লেকটাউনে সিআরপিএফ-এর সাজসজ্জা একেবারে অন্যরকম ছিল। জওয়ানদের মাথায় ছিল হেলমেট, হাতে ঢাল। এছাড়াও টিয়ার গ্যাসও সঙ্গে রেখেছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা।
শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব এলাকা বরাবর সুজিত বসুর এলাকা হিসেবে পরিচিত। এদিন শ্রীভূমিতে রুট মার্চ করতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। এর আগে বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সেখানে কোথাও এই ধরনের দৃশ্য আগে দেখা গিয়েছিল বলে মনে করতে পারছে না ওয়াকিবহাল মহল।
রাজ্যের এক প্রবীণ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘এরিয়া ডমিনেশন আমরা মূলত ভোটের সময় দেখতে পাই। এখন ঠিক তা করা হচ্ছে না বললেও যে ছবি সামনে আসছে তাতে এটা স্পষ্ট যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা অনেক বেশি প্রস্তুত যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য।’
এলাকায় কোনও মানুষজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলে তাঁকে গিয়েও প্রশ্ন করেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। কোনওভাবেই যাতে অশান্তির ঘটনা না ঘটে সেই জন্য প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। তিন চার জনের জমায়েত থাকলেও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানাও ছিল সুসজ্জিত। এলাকায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের কর্মীরা। কেউ সুজিত বসুর সঙ্গে এদিন দেখা করতে এলে তাঁদের পরিস্থিতি বুঝিয়ে বলতে দেখা যায় জওয়ানদের। ED-র গোয়েন্দারা কিছু কিছু সময় বাইরে আসতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা কিছু নির্দেশ দিয়ে ফের ভেতরে চলে যাচ্ছেন।
এদিকে উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ সরকারের বাড়িতেও তল্লাশি চালান ED আধিকারিকরা। তল্লাশি অভিযান চলাকালীন সেখানে আসেন দমদম থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বঙ্গিম বিশ্বাস। কিন্তু, তাঁকে বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি দেননি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বঙ্কিম বিশ্বাস জানান, যেহেতু এই বাড়িটি তাঁর থানার এলাকাতে তাই বিষয়টি জানতে পেরে এসেছিলেন তিনি।