IIEST Shibpur : সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ধ্যান! সেই সঙ্গে ছাত্রভোট, বিতর্কে আইআইইএসটি – iiest shibpur authority wants to hold the student election on today


স্নেহাশিস নিয়োগী

শিবপুরের আইআইইএসটি-তে শুরু হয়েছে ‘বিরাসত-২০২৪’। চলবে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। কথা ছিল, সেখানে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সে সবের ফাঁকেই পাঁচদিন ধরে নানা সময়ে যোগা বা ধ্যানের অনুষ্ঠান রাখা হয়েছে। যাকে ঘিরে বেধেছে বিতর্ক। এরই মধ্যে আজ, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত স্টুডেন্টস’ সেনেট নির্বাচনের দিন ফেলেছেন কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে সরব শিক্ষক, পড়ুয়া, অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকদের একাংশও।

তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভারতীয় ক্লাসিকাল মিউজ়িক, ধ্রুপদী নৃত্য এবং প্রাচীন সংস্কৃতির নামে ধ্যানকে যুক্ত করার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। ব্যতিক্রম নয় আইআইইএসটি। সেখানকার ‘বিরাসত-২০২৪’এ কথক, মণিপুরী নৃত্য, ধ্রুপদী সঙ্গীত, সেতার, পটচিত্র, ছৌ নাচের পাশে যোগা বা ধ্যানের কী সম্পর্ক — সে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।

আবার প্রাক্তনীদের প্রশ্ন, স্টুডেন্টস’ সেনেট বা ছাত্র সংসদের ভোট-প্রক্রিয়া নিয়েও। আইআইইএসটি-র ডিন অফ স্টুডেন্টস সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় গত ৮ জানুয়ারি সাতটি পদে ভোটাভুটির দিন ঘোষণা করেছেন। তার চারদিনের মাথায় বৃহস্পতিবারই প্রকাশিত হলো তার সময়সূচি।

বকেয়া ছাত্রভোট ঘিরে এত তাড়াহুড়োয় দেখে অনেকেই বিস্মিত। কারণ, ছাত্র নির্বাচনে একাধিক পক্ষ জড়িত। তাঁদের নিজস্ব মতামত রয়েছে। ভোট নিয়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনাও থাকে। সেই ভোটের সময়ে ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে কী করে?

এ ব্যাপারে জানতে সুদীপ্তকে ফোন করা হলে বলেন, ‘বৈঠকে ব্যস্ত আছি।’ আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র ওয়েবসাইট অনুযায়ী, সুদীপ্ত সংগঠনের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিও। কাজেই ছাত্রভোটের নিয়ম-কানুন তাঁর অজানা থাকার কথা নয়।

Primary School In Bengal : প্রকৃতির কোলে বসে প্রকৃতির পাঠ পড়ুয়াদের
প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ আধিকারিক নির্মাল্যকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে যোগা বা ধ্যান কেন রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে আমি কিছু বলব না। তবে স্টুডেন্টস’ সেনেটের ভোটে প্রার্থী হতে গেলে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে উপস্থিতি-সহ কিছু শর্ত মানতে হয়। তাই ‘বিরাসত-২০২৪’এর সঙ্গে নির্বাচন হলেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’

এক শিক্ষক নেতার কথায়, ‘একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে ‘বিরাসত ২০২৪’ আয়োজন করেছেন কর্তৃপক্ষ। ২৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা আমার। তার ভিত্তিতে বলতে পারি, কখনও এ ভাবে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, ধ্রুপদী নৃত্য এবং প্রাচীন সংস্কৃতির নামে ক্যাম্পাসে যোগা বা ধ্যানের অনুশীলন হয়নি। এটা খুব উদ্বেগের বিষয়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *