উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ টিমের সঙ্গে ছিলেন লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার অফিসাররা। উত্তর কাশীপুরের ওসি অমিতকুমার চট্টোপাধ্যায় বাজারে মাইক হাতে কথা বলেন। সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য আবেদন জানান। কোনও অপরাধমূলক কাজকর্ম দেখলেই সরাসরি পুলিশকে ফোনের পরামর্শ দেন। সে জন্য থানার নম্বরও জানিয়ে দেওয়া হয়।৮ জানুয়ারি কলকাতা পুলিশের আওতায় আসে ভাঙড়।
সোম থেকে বৃহস্পতি— এই চার দিনে ভাঙড়ের চারটি থানা এলাকায় বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণই কেটেছে। বাসন্তী রাজ্য সড়কে ট্র্যাফিকেরও বেশ উন্নতি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি ধরে রাখতে চাইছে পুলিশ। তাই পুলিশের উদ্যোগে এ দিন উত্তর কাশীপুর থানা এলাকার বিভিন্ন বাজার ও স্পর্শকাতর এলাকায় মাইকে প্রচার করা হয়। ওসি নিজে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের সমস্যা জানার চেষ্টা করেন। বিজয়গঞ্জ বাজারে যেতেই স্থানীয়রা কাঠের ব্রিজ নিয়ে সমস্যার কথা বলেন।
খালের উপর বেহাল কাঠের সেতু পেরিয়ে বিজয়গঞ্জ বাজারের বাসিন্দাদের ও পারে ভাঙড় থানা, ভাঙড় কলেজ, দু’টি হাইস্কুল, মাদ্রাসা ও ভাঙড় বাজারে যেতে হয়। স্কুলের সময় ব্রিজে প্রচণ্ড যানজট হয়। সে সব নিয়েই বলেন স্থানীয়রা। ওসি কথা দেন দ্রুত সকাল ও সন্ধ্যা অফিস টাইমে ব্রিজে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের ব্যবস্থা করবেন। ওসি দোকানদের নিজের ফোন নম্বর দেন, যাতে যে কোনও প্রয়োজনে তাঁকে ধরা যায়।
পুলিশের পক্ষ থেকে এ দিন মাইকে বলা হয়, এলাকায় কোনও অবৈধ কাজ কারবার করা যাবে না, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে, ট্র্যাফিক আইন মেনে চলতে হবে, বাজার এলাকায় যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করা যাবে না, বিনা হেলমেটে গাড়ি চালানো যাবে না, সমস্ত গাড়ির কাগজপত্র ঠিক রাখতে হবে, এলাকায় কোনও ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে তা পুলিশকে জানাতে হবে।
প্রয়োজনে পুলিশ তাঁর পরিচয় গোপন রাখবে। বিজয়গঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী কৌশিক বিশ্বাস বলেন, ‘এতদিন পুলিশকে কোনও সমস্যার কথা বললে তাঁরা শুধুই শুনতেন। কলকাতা পুলিশকে দেখলাম অন্যরকম। সমস্ত অভিযোগ, সমস্যার কথা খাতায় লিখে নিলেন। আশা করি এ বার কাজ হবে। আমরা ভরসা পাচ্ছি পুলিশের আশ্বাসে।’