Maoist : মাথার দাম ছিল ১০ লাখ! পুলিশের জালে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মাওবাদী নেতা সব্যসাচী – purulia police arrested most wanted maoist leader sabyasachi goswami


দীর্ঘদিন ধরে সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর। অবশেষে পুলিশের জালে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সিপিআই (মাওবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা বেঙ্গল ইনচার্জ সব্যসাচী গোস্বামী ওরফে কিশোর ওরফে বিজয়। পুরুলিয়া থেকে এই মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।

উত্তর ২৪ পরগণার ঘোলা থানা এলাকার সোদপুর রোডের বাসিন্দা ও এই শীর্ষ মাও নেতাকে পুরুলিয়া-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই খবর জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন এই শীর্ষ মাও নেতা। তবে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরই ‘বেপাত্তা’ হয়ে যেতেন তিনি।

বিগত ২০২২ সালে এন.আই.এ-র তরফে সব্যসাচী গোস্বামীর মাথার দাম দু লাখ টাকা ধার্য করেছিল বলে সূত্রের খবর। অবশেষে পুরুলিয়ায় পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন এই শীর্ষ মাও নেতা। শুক্রবার পুরুলিয়া শহরের বেলগুমা পুলিশ লাইনে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিলেন পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।

মোস্ট ওয়ান্টেড এই সিপিআই (মাওবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। পাশাপশি তিনি ছিলেন মাওবাদী বেঙ্গল ইউনিটের ইনচার্জ। মাও কর্মকাণ্ডে সব্যসাচী গোস্বামী সম্প্রতি বারবার আলোচনায় উঠে এসেছিলেন। রাজ্যের মাও অধ্যুষিত অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই প্রভাব ছিল তাঁর। পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম জেলায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিলেন। তার নেতৃত্বে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখার গ্রামগুলিতে চলছিল মাওবাদী সংগঠন।

জানা গিয়েছে, ২০০০ সালে সিপিআই ( মাওবাদী ) কলকাতা শহর কমিটির সম্পাদক ছিলেন। প্রায় চার বছর পর ২০০৪ সালে রাজ্য কমিটির সদস্য পদ পান। এরপর ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন তিনি। ছাত্র আন্দোলনের সময় নকশাল নেতা সন্তোষ রানার দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। পরবর্তী জমি আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত হন তিনি। নোনাডাঙ্গা উচ্ছেদ আন্দোলন সামিল হয়েছিলেন এই মাও নেতা।

Rudranil Ghosh : মমতাকে তীব্র নিশানা, ছড়া কেটে সভা জমালেন রুদ্রনীল! দেখুন ভিডিয়ো
তবে এর আগেও পাঁচবার এই মাওনেতা গ্রেফতার হয়ে ছিলেন। ২০২১ সালে আসামের গোলাঘাট জেলা থেকে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। ২০০৫ সালে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। পরবর্তীকালে ২০১৩ সালে যাদবপুর থেকেও গ্রেফতার হয়েছিলেন তিন। গত ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি দক্ষিণ বাঁকুড়ার বারিকূল থানার গোসদা গ্রামে অনলাইন গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে তিনি ছিলেন বলে জানতে পারে পুলিশ। তবে চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যান। ২০২৩ সালের মার্চ মাসেও ঝাড়গ্রামে ধরমপুর থেকেও তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *