এদিন তাঁকে ED আধিকারিকরা ওই অফিসটিতে নিয়ে যায়। পথে তাঁকে ইডির তল্লাশি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। সেখানে প্রথমে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। এরপর অবশ্য সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘তদন্ত চলতে দিন। তারপর যা সামনে আসার আসবে। আমাদের তরফে পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে। ’ খুব একটা বেশি শব্দ ব্যয় করেননি তিনি।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাঁকে নিয়ে গিয়ে ওই পুরনো অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য, সুজিত বোসের বাড়িতে ED তল্লাশির পর থেকেই সরগরম রাজ্য রাজনৈতিক মহল। তাঁকে তোপ দেগে রাজ্য BJP সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তীব্র কটাক্ষ করেন। কীভাবে উত্থান হল সুজিত বসুর? প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এদিকে এদিন পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইডির স্ক্যানারে উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তী। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে তাঁর বাড়িতে চলছে ইডির তল্লাশি । সূত্রের খবর, পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোন জমা রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। বাড়ির দোতলায় চলছে কথাবার্তা। উত্তর দমদম পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তীর খলিসাকোটা পল্লীর বাড়িতে।
রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাতে নাম জড়িয়েছে উত্তর দমদম পুরসভারও। আর তারই প্রেক্ষিতে এই অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্যের আরও এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি অভিযান। ইতিমধ্যেই এজেন্সি রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন রাজ্য শাসক দলের নেতারা।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ থেকে শুরু করে শশী পাঁজা, শতাব্দী রায় প্রত্যেকে সরব হয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে এজেন্সির এহেন তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। পালটা সরব গেরুয়া শিবিরও। কেন্দ্রীয় এজেন্সি যাবতীয় নিয়ম মেনে দুর্নীতির তদন্ত করছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে শুক্রে রাজ্যের তিন তিনজন হেভিওয়েট নেতার বাড়িতে ইডি তল্লাশি ঘিরে পড়েছে শোরগোল।