অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষের বালোর জন্য যে টাকা আসে, তা আত্মসাতের জন্য ব্যবস্থা করা হয়। এখানকার নেতা ও সরকার কাটমানির নামে বিখ্যাত। গরীব মানুষের উপকারের জন্য যে টাকা কেন্দ্র থেকে আসে, সেখান থেকেও কমিশন খাওয়ার চেষ্টা করা হয়। দুর্নীত চরম সীমায়। যদিও দুর্নীতি আটকানোর চেষ্টা করা হয়, তাহলে ইডির টিমের ওপর পাথর ছোড়া হয় মারধর করা হয়। দুর্নীতিগ্রস্থদের শেল্টার দেওয়ার কাজ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।’
এবার প্রশ্ন হচ্ছে, ‘এখানকার মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যয়ের কি নিজের দলের মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কদের ওপরে নিয়ন্ত্রণ নেই। যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করার কথা বলা হয়, তাহলে সেই আধিকারিকদের সঙ্গে ওঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) গুণ্ডা, আধিকারিকরা মারপিট করেন, এটা দেশে কোথাও হয় না, পশ্চিমবঙ্গে হয়। আইন-শৃঙ্খলার ভয়ঙ্কর অবস্থা এখানে রয়েছে, যার উদাহরণ বারবার দেখা যায়।’
সম্প্রতি সন্দেশখালির ঘটনায় উত্তার লহয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। আক্রান্ত হয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা তৃণমূল নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাহজাহান। রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তদন্তে যান ইডির কর্তারা। শাহজাহনের বাডিতে বেশ কয়েকবার ডাকাডাকিও করা হয়। যদিও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এদিকে ইডি আধিকারিকদের উফস্থিতির খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা। প্রথমে ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় শাহজাহানের অনুগামীদের। এরপরেই ইডি আধিকারিদের ওপরে চড়াও হন শাহজাহানের অনুগামীরা।
অন্যদিকে পুরুলিয়ায় সাধুদের ওপর হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘এমন পরিস্থিতি কেন, তুষ্টিকরণের রাজনীতি এই পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছে। সাধুদের মারধোর ও খুন করার চেষ্টা হয়েছে। রাজ্যসরকার দর্শকের ভূমিকায়। সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হল, তখন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে তুষ্টিকরণের রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গেকে কোন জায়াগায় নিয়ে যাচ্ছে।’ অন্যদিকে এদিন ইন্ডিয়া জোটের বিরুদ্ধেও সরব হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।