কী জানা যাচ্ছে?
লটারি ১ কোটি টাকা কার? তা নিয়েই চরম উত্তপ্ত। লটারির এজেন্টকে ধরে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তমলুকের রামতারাক এলাকায়। লটারিতে এক কোটি টাকা পাওয়ার পর লটারি এজেন্ট টিকিট নিয়ে নেওয়ার পরেও টাকা না দেওয়ার অভিযোগ। লটারি এজেন্টকে মারধর করল এলাকাবাসী।
কী ঘটনা ঘটেছে?
তমলুকের রামতরঘাটে লটারির এজেন্ট শীতল আদকের কাছে গত ৭ জানুয়ারি লটারির টিকিট কাটেন দেরিয়াচক গ্রামের শেখ শেমেদুল। লটারি কেটে ভাগ্য ফেরে তাঁর। লটারি টিকিটে ১ কোটি টাকা জেতেন তিনি বলে দাবি তাঁর। সেই বিষয়ে জানান স্থানীয় লটারি এজেন্টকে। লটারির টাকা পাওয়ার জন্য লটারি এজেন্ট শীতলকে টিকিট দেন শেখ সেমেদুল। এরপরেই বাঁধে গণ্ডগোল।
শেখ শেমেদুলের অভিযোগ, টিকিট দেওয়ার পর ওই টিকিট এজেন্ট টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ করে। পরে পুলিশের দ্বারস্থ হয় শেমেদুল। টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার গেলেও দীর্ঘদিন ধরে ঘোরাচ্ছেন ওই এজেন্ট, বলে দাবি টিকিট ক্রেতার। টিকিট হাতে না থাকায় মহা মুশকিল পড়েন ওই ক্রেতা। উপায় না দেখে শনিবার ওই লটারি এজেন্টের উপর চড়াও হন লটারি টিকিট ক্রেতা। ক্রেতার সঙ্গে চড়াও হন কিছু প্রতিবেশী। টাকা না দেওয়ায় আজ প্রতিবেশীরা লটারির টিকিট এজেন্ট উপর চড়াও হয়। মারধর করা হয়। পরে তমলুক থানার পুলিশের এলে পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা।
ক্রেতার আত্মীয় কী বললেন?
ওই টিকিট ক্রেতার এক আত্মীয় জানান, গত রবিবার সন্ধ্যায় টিকিট কেটেছেন শেখ শেমেদুল। সন্ধ্যার লটারি খেলায় ভাগ্য ফেরে ওই ক্রেতার। এরপর সেই টিকিটটি নিয়ে নেন বিক্রেতা। টাকা দিতে নারাজ হওয়ায় থানার দ্বারস্থ হন ওই ক্রেতা। এরপরেও টাকা বা টিকিট দিতে অগ্রাহ্য করে ওই বিক্রেতা। এমনকি, টাকা না দিয়ে উকিলের সঙ্গে আলোচনা করার কথাও বলে সেই অভিযুক্ত বিক্রেতা। এরপরেই তুমুল বচসার পর টিকিট বিক্রেতার উপর চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দারা।