Hooghly News : মাথা থেঁতলে হত্যা, দেহ লোপাটের সময় বাবার হুঁশ ফিরতেই পগারপার গুণধর ছেলেরা – hooghly balagarh police searching for two boys allegedly convicted for their father death


বাবাকে হত্যার চেষ্টা গুণধর ছেলেদের। নক্কারজনক ঘটনা হুগলি জেলার বলাগড় এলাকায়। দেহ লোপাটের সময় লাগে হঠাৎই জেগে ওঠেন অচৈতন্য বাবা। ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দে দৌড় ছেলেদের। পরে ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির নাম মদন ঘোষের(৬৮)। ছেলেদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

কী জানা যাচ্ছে?

ইট দিয়ে থেঁতলে বাবাকে খুন করে লাশ গায়েব করার চেষ্টা দুই ছেলের! দেখে ফেলায় ফেলে রেখে পলাতক। ঘটনা হুগলি জেলায় বলাগড়রের বেহুলায়। বলাগড় বেহুলা আয়দার বাসিন্দা মদন ঘোষের দুই ছেলে মন্টু আর সন্টু। বাবার সঙ্গে মাঝে মধ্যেই অশান্তি হত দুই ছেলের। বাবার সম্পত্তি নিয়েই ছেলেদের সঙ্গে বাবার অশান্তি হত বলে জানা গিয়েছে।

অশান্তির জেরে হত্যা

পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, যা কিছু জমি জায়গা আছে তার অর্ধেক দুই ছেলেকে দিয়ে দিয়েছিলেন বৃদ্ধ। বাকি যা কিছু আছে তা নিয়েই অশান্তি হত। দুই ছেলে দোতলা বাড়ি করছে। অথচ বাবার ঘরের চাল দিয়ে জল পড়ে। নিজের ঘরের মেরামত করার জন্য ওই বৃদ্ধ টিন কিনে দিতে বলেছিলেন। তা নিয়ে শনিবার সকাল থেকে ঝগড়া শুরু হয় বাবা – ছেলেদের মধ্যে। বচসার মাঝেই বাবার মাথায় ইটের ঘা বসিয়ে দেয় ছেলে। অচৈতন্য হয়ে পড়েন বৃদ্ধ।

এরপরেই ওই বৃদ্ধ মারা গিয়েছেন ভেবে ট্রলি ভ্যানে চাপিয়ে গঙ্গার ঘাটের দিকে নিয়ে যেতে থাকে দুই ছেলে। এর মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসে বৃদ্ধের। লোকজন দেখে ফেলার ভয়ে ভ্যান রেখে পালিয়ে যায় ছেলেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশ গিয়ে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে বলাগড় ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। পরে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় দেহ ময়না তদন্তের জন্য।

কার পাতে কত মাংস! পিকনিকে বচসা, তারপর…
পরিবারের লোক কী বলছে?

মৃতের ছোটো বৌমা রূপা ঘোষ বলেন,’আমি রান্না করছিলাম। টিন নিয়ে অশান্তি হচ্ছিল শুনেছি। এর মাঝেই বাবার সঙ্গে স্বামী আর ভাসুরের প্রচণ্ড বচসা হয় তারপর কী হল জানিনা! ট্রলি ভ্যানে বাবাকে চাপিয়ে নিয়ে বলল হাসপাতালে যাচ্ছি।’ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত দুই ছেলে পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। তবে গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ছেলেকে দ্রুত ধরার ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *