Ram Mandir : ২০ কেজি বিস্কুট দিয়ে তৈরি হুবহু রাম মন্দির! চমকে দেবে দুর্গাপুরের ছোটনের হাতের কাজ – ram mandir replica made with biscuits by durgapur young boy chhoton ghosh


আর মাত্র নয়দিন। তারপরেই শ্রী রামচন্দ্রের মন্দির উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যায়। অপেক্ষার প্রহর গুনছে দেশবাসী। সারা দেশ থেকে রামভক্তরা হাজির থাকবেন সেই মাহেন্দ্রক্ষণের। তবে অনেকেরই হয়তো অযোধ্যায় যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে না! তাতে কী! প্রভু রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নিজ নিজ উপায় খুঁজে নিচ্ছেন ভক্তরা। সেরকমই উদাহরণ এল দুর্গাপুর থেকে।

কী জানা যাচ্ছে?

আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় নব নির্মিত রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে রামলালার। তার আগে দেশজুড়ে চরম উৎসাহ উদ্দীপনা। ইতিমধ্যে আমন্ত্রণ পত্র বিতরণ ও অক্ষত চালের প্রসাদ বিতরণ শুরু হয়েছে। তার আগে ২০ কেজি বিস্কুট দিয়ে রাম মন্দির তৈরি করে নজির গড়ল দুর্গাপুরের ছোটন ঘোষ।

কী পরিচয় ছোটনের?

দুর্গাপুরের ধুবচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ছোটন ঘোষ। পেশায় ফুলের সাজসজ্জার কাজ করেন তিনি। মাধ্যমিক পাশ করার পর শুরুতে বাবার সঙ্গে গ্যারেজে কাজ শুরু করেন। সেখান থেকে কারিগরি শিক্ষার হাতেখড়ি। মাস কয়েক আগে ১০ সিটের সৌরবিদ্যুৎ চালিত বাইক তৈরি করে নজির গড়ে ছিলেন। প্যাডেল ছাড়া সূর্যালোকের জোরে ওই বাইকে চড়ে অনায়সে যাওয়া আসা করা যাবে। সেটা তৈরিতে খরচ হয়েছিল তার কুড়ি হাজার টাকা। ওই বাইকে লোহার টুকরোকে জোড়া লাগিয়ে তার সঙ্গে টায়ারের চাকা। সোলার প্লেট, ব্যাটরি বসানো হয়েছিল। পরীক্ষামূলকভাবে সফল হয়। জ্বালানি তেল মূল্যবৃদ্ধির জেরে, কম খরচে সেটা সহকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় কাজের সুবিধায় যাওয়া আসার জন্য তৈরী করেছিল ছোটোন।

বিস্কুট দিয়ে নির্মিত রাম মন্দির

বিস্কুট দিয়ে নির্মিত রাম মন্দির

বিজ্ঞানীদের সম্মান জানাতে ছোটোনও সদৃশ্য চন্দ্রযান তৈরি করেছিল। তবে সেটা মনোরঞ্জনের জন্য। প্ল্যাস্টিকের বোতলের সাড়ে ছ’ফুটের সিলিন্ডার তৈরি করা হয়। তাতে আর্ডিনো ডিভাইস বোর্ড লাগানো ছিল। সঙ্গে ছিল ৯ ভোল্টের ব্যাটরী। মোবাইল দ্বারা অপারেটিং সিস্টেম ছিল। প্রায় ৪০ ফুট ওপরে উড়েছিল তার কৃত্রিম চন্দ্রযান। এছাড়াও সদৃশ্য রোভার প্রজ্ঞান তৈরি করে তাক লাগিয়েছিল ছোটোন।

রাম মন্দির নির্মাণ

এবার রাম মন্দিরে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে বিস্কুটের রাম মন্দির তৈরি করে নজির সৃষ্টি করল ছোটন। কী থাকছে ছোটনের রাম মন্দিরে? সাড়ে তিন ফুট উচ্চতা। পুরো মন্দির তিন ফুট চওড়া ও লম্বায়। রাম মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে বিস্কুটের রাম মন্দির। তাতে থার্মোকলের ওপর বিভিন্ন কোম্পানির নোনতা বিস্কুট দিয়ে নকশা করা হচ্ছে। গত চারদিন ধরে ছোটন ও তার সহ কর্মীরা সেই কাজ করছে।

কী বললেন ছোটন?

ছোটন বলেন, ‘গোটা দেশ রাম মন্দির তৈরির আনন্দে মাতেয়ারা। তারই এক প্রতিফলন সেই আনন্দ প্রকাশ করতে বিস্কুট দিয়ে রাম মন্দির তৈরির করার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। আমার এই রাম মন্দির দুর্গাপুর ইসকন মন্দিরে রাখা হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *