রওনা দিলেন শিল্পীরা
দীপাবলিতে চন্দননগরের আলো সেজেছিল অযোধ্যার পথ ঘাট। এবার রামমন্দির উদ্বোধনের সময় চন্দননগরের আলোয় সাজবে অযোধ্যা। রাজ্যের আলোক শিল্পীরা রওনা দিলেন অযোধ্যার উদ্দেশ্যে। যোগী রাজ্যে মোট দু’কোটি টাকার বরাত পেল চন্দননগর। আগামী ২২ শে জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। দেশ বিদেশের বহু অতিথি রামমন্দির উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন।
কী ধরনের আলোকসজ্জার ব্যবস্থা?
মন্দির ও মন্দির প্রবেশের গোটা রাস্তা সেজে উঠবে চন্দননগরের আলোয়। দেড়শো জন আলোক শিল্পীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হুগলি থেকে। ফিরোজাদাবাদ থেকে অযোধ্যার রাম মন্দির গেট পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের আলোর মেলায় সেজে উঠবে। আলোর মাধ্যমে রাম, লক্ষণ, সীতা, হনুমানের ছবি ফুটিয়ে তোলা হবে। বিশেষ ভাবে থাকছে পদ্মফুলের আলো। ৩০০ টি আলোর গেট থাকবে রামমন্দির যাওয়ার রাস্তায়। এক বছর ধরে এই আলো জ্বলবে। তার জন্য লোহার স্ট্রাকচারের উপর নতুন ধরনের এলিডি স্ট্রিপ দিয়ে সাজানো হবে আলো। যা সহজে নষ্ট হবে না।
প্রায় দুই কোটি টাকা বাজেটের আলোর বরাত পেয়েছে চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা। চন্দননগরের আলোক শিল্পী মনোজ সাহা এই আলো ও শিল্পীদের নিয়ে শনিবারই রওনা দিচ্ছেন অযোধ্যার উদ্দেশ্যে। কিছু আলোক সজ্জা যেমন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তেমনি অযোধ্যায় পৌঁছে বাকি কাজ শেষ হবে। ২০ তারিখের মধ্যে সব কাজ শেষ করা হবে বলে জানান আলোক শিল্পীরা। রাম মন্দিরে বহু মানুষ আসবেন, সেখানে চন্দননগরের আলো আলাদা করে নজর কাড়বে বলে আশাবাদী আলোক শিল্পীরা।
শিল্পীরা কী বললেন?
চন্দননগরের এক শিল্পী বাবাই কর বলেন, ‘চন্দননগরের আলোর সঙ্গে সকলেই পরিচিত। তবে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের জন্য যে লাইট লাগানো হচ্ছে সেটা একেবারে নতুন ধরনের। সারা দেশের লোক সেই আলো দেখতে পাবে। আগে কখনও সেটা দেখা যায়নি। দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য আমরা আজকেই রওনা দিচ্ছি।’ শিল্পী মনোজ সাহা বলেন, ‘ আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার এই লাইটিং করার। ১০ কিমি জায়গা জুড়ে এই লাইটিং হবে। এক বছর ধরে এই লাইট থাকবে। তার জন্য আমরা রওনা দিচ্ছি।