West Bengal Transport Department : ওয়েভার স্কিমেই বাজিমাত, পরিবহণ দফতরের ১০ দিনেই আয় ১০০ কোটি – west bengal transport department weaver scheme gets huge response receive 100 crore


করোনার সময় ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছিল রাজ্যের কোষাগার। এরপর কোষাগার চাঙ্গা করার জন্য এবং সাধারণ মানুষকেও কিছুটা স্বস্তি দিতে ‘ওয়েভার স্কিম’ চালু করার উদ্য়োগ নিয়েছিল রাজ্যের পরিবহণ দফতর। আর এরপরেই গাড়ির বকেয়া কর আদায়ে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছে। প্রথম দশ দিনেই রাজকোষে প্রায় ১০০ কোটি টাকা জমা পড়েছে, সূত্রের খবর এমনটাই। আগামীদিনে এই অংকটা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

গাড়ির বকেয়া কর আদায় করার জন্য ওয়েভার স্কিম চালু করেছিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। গত ১ জানুয়ারি থেকে তা চালু করা হয়। রোড ট্যাক্স থেকে শুরু করে সিএফ আপটু ডেট করার ক্ষেত্রে একাধিক ছাড় পাওয়া যাচ্ছে। আর এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে পারছেন না গ্রাহকরা। স্বাভাবিকভাবেই এই স্কিমের ফলে ফুলে ফেঁপে উঠছে রাজ্য়ের কোষাগার।

বিশেষ বার্তা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রীর

এই ওয়েভার স্কিম চালু হওয়া প্রসঙ্গে এবার উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘কোভিডের পরবর্তী সময়ে বাংলার পরিবহণ পরিষেবাকে আরও চাঙ্গা করার জন্য এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’ পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উদ্দেশেও তিনি বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। পরিবহণমন্ত্রী এদিন আহ্বান করেন, বৈধ কাগজ নিয়েই রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামা উচিত সাধারণ মানুষের।

এখনও পর্যন্ত কারও কাছে নির্দিষ্ট নথি না থাকলে তাঁরা এই সুযোগের সদব্যবহার করতে পারেন বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। কোনওভাবে যাতে পরিবহণ পরিষেবাতে কোনও খামতি থেকে না যায় সেই জন্য পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী। তিনি শক্রবার কচুবেড়িয়াতে গিয়েছিলেন। গঙ্গাসাগরে যাওয়ার জন্য, সেখানে পৌঁছনোর জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখেন তিনি।

গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনে যাতে কোনও খামতি না থাকে সেই জন্য প্রশাসনিক বৈঠকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই দফায় দফায় সেখানে গিয়েছেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী। পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাতে কোনওভাবেই বাধা সৃষ্টি না হয় সেই দায়িত্ব পরিবহণ দফতরের। সাগর পরিদর্শনে গিয়ে দফতরের কর্মীদের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী। কোনওভাবেই যাতে সাধারণ মানুষের পরিবহণ পরিষেবা নিয়ে কোনও খামতি মনে না হয় সেই বিষয়ে চলছে বিশেষ নজরদারিও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *