কী জানা যাচ্ছে?
পিকনিক করে বাড়ি ফেরার পথে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। বিষ্ণুপুরের কাছে লরি ও ছোট গাড়ির সংঘর্ষ। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে একটি ছোট গাড়ি করে চালকসহ মোট ছয় জনা বাঁকুড়া এসেছিল পিকনিক করতে। জানতে পারা যায়, প্রথমে তাঁরা শুশুনিয়া পাহাড় থেকে মুকুটমণিপুর পিকনিক করতে যান। বিষ্ণুপুর হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরছিলেন তাঁরা। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে।
কী ভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?
জানা গিয়েছে, বাঁকাদহ চেকপোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে সামনের দিক থেকে আসা একটি পণ্য বোঝাই লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যায় ছোট গাড়িটি। রাস্তার পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় পণ্য বোঝাই লরিটি। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় বাসিন্দা। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে। তাঁদেরকে আনা হয় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বিভাস মাইতি বলেন, ‘আমরা এই গাড়িটির কয়েকটি গাড়ির পেছনেই ছিলাম। হঠাৎ একটি লরির সঙ্গে গাড়িটির মুখোমখি ধাক্কা লাগে। আমরা গাড়ি থামিয়ে ছুটে যাই। সঙ্গে সঙ্গে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ গাড়ির এক যাত্রী বলেন, ‘আমরা গাড়িতে ছয়জন ছিলাম। হঠাৎ একটি লরি এসে ধাক্কা মারে। আমাদের গাড়ির চালক মারা গিয়েছেন। আমাদের আরও দুইজন আহত হয়েছে। তাঁদের দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছোট গাড়িচালক ৪২ বছরের দীপক কুমার জানাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানা এলাকায়। আহত ২ ব্যক্তির অবস্থার অবনতি দেখে পাঠানো হয়েছে অন্যত্র। সমগ্র ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়।
রাজ্যে পথ দুর্ঘটনার খবর নতুন নয়। পথ নিরাপত্তায় বারবার প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে, জাতীয় সড়কগুলিতে বারবার পথ দুর্ঘটনা ঘটছে। পুলিশের তরফে সচেতনতা বাড়ানো হলেও বারবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। রবিবারই মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের বিষ্ণুপুর কালী বাড়ির পুজো দেখে ফেরার পথে নদীয়ার কালিগঞ্জ থানা এলাকার ধজ পুকুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটনাস্থলে মৃত্যু ৩ বাইক আরোহীর।