Jalpaiguri: শীতে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ, কম্বল বিতরণ জলপাইগুড়ি পুরসভার


প্রদ্যুৎ দাস: প্রবল ঠান্ডায় রাস্তায় থাকা ভবঘুরেদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলো জলপাইগুড়ি পুরসভা। প্রবল শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে ঘন কুয়াশা। গত কয়েকদিন ধরে সূর্যের মুখ দেখেনি জলপাইগুড়ি শহর। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হচ্ছেনা মানুষজন। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে আগামী কয়েকদিনে এই শৈত্য প্রবাহ আরও বাড়বে।

এই প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও রাস্তার ধারে বা বাসস্ট্যান্ডে কিংবা হাসপাতাল চত্তরে থাকেন অনেক সহায়সম্বলহীন মানুষজন।

এইসব সহায়সম্বলহীন কিংবা ভবঘুরে মানুষদের জন্য সুপ্রিম কোর্টের তত্তাবধানে জলপাইগুড়ি পুরসভার পক্ষ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরী করা হয়েছে আশ্রয় শেল্টার হোম। ঝাঁ চকচকে এই শেল্টার হোমে বেশ কিছু মানুষজন থাকলেও শহরের একটা বড় অংশের ভবঘুরেরা শেল্টার হোমে আসতে চান না বলে দাবী পুর কর্তৃপক্ষের।

আরও পড়ুন: Bengal News LIVE Update: এক ঝলকে দেখে নিন আজকের টাটকা খবর

শৈত্যপ্রবাহ আরও বাড়লে এই সমস্ত মানুষেরা বিপাকে পড়তে পারেন। তাদের প্রানহানির আশঙ্কাও রয়েছে। এই আশঙ্কায় এবার তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলো জলপাইগুড়ি পুরসভা।

শনিবার রাতে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ্যাটার্জী, একজিকিউটিভ অফিসার দেব দুলাল পাত্র, কাউন্সিলর নীলম শর্মা সহ পুরসভার টিম শহরের রাস্তায় ঘুরে ভবঘুরেদের খুঁজে বের করে তাদের হাতে কম্বল ও চাদর তুলে দিলেন। আর এতে খুব খুশি এই সমস্ত মানুষজন।

সিদ্ধেশ্বর কর্মকার নামে এক বয়স্ক নাগরিক জানালেন, ‘ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছিলাম। পুরসভা কম্বল দিলো। খুব উপকার হলো’।

আরও পড়ুন: Tamluk: লটারিতে উঠেছিল ১ কোটি, টিকিট নিয়ে নিল দোকানদার! তোলপাড় তমলুক

ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ্যাটার্জী জানান, ‘উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ চলছে। তার উপর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে আগামী ১৬, ১৭ তারিখ এই শৈত্যপ্রবাহ আরও বাড়বে। আমাদের শহরে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন মতো ভবঘুরে রয়েছে। এদের জন্য সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে শেল্টার হোম তৈরী করা হয়েছে। যেখানে কিছু মানুষ রয়েছেন। যাদের অত্যন্ত যত্ন করে রাখা হয়’।

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এই শহরেই অনেক কয়জন সহায়সম্বলহীন মানুষ রয়েছে যাদের আমরা বহু আবেদন নিবেদন করলেও শেল্টার হোমে যেতে চাননা। কিন্তু তাঁদের বাঁচিয়ে রাখা পুরসভার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই আমরা এই সমস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের কম্বল বিতরন করলাম। যাতে তাঁরা ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে পারে। আমরা আগামী কয়েকদিন ধরে এই কর্মসূচি চালাবো’।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *