কাটোয়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,শুক্রবার দুপুরে হঠাৎই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ভিজিলেন্স এর একটি দল হাসপাতালে আসে। তারা আপার ডিভিশনের এক ক্লার্কের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তিনি কী ধরনের মানুষ, কত বছর ধরে এই হাসপাতালে কাজ করছেন, সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। হাসপাতালের কোন কোন বিষয় তিনি দেখেন, এছাড়াও তাঁর বাড়ি কোথায়, পরিবারে কতজন রয়েছেন, সমস্ত বিষয়ে খোঁজ নেয় ভিজিল্যান্স দল।
তবে এই বিষয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার সুশান্তবরণ দত্ত জানিয়েছেন, তাঁর কাছ একটি চিঠি আসে জেলা ভিজিল্যান্স দফতরের পক্ষ থেকে। হাসপাতালের এক ডিভিশন ক্লার্কের বিষয়ে তাঁরা কিছু তথ্য চান। এরপর তাঁরা যে সময় হাসপাতালে এসেছিলেন তিনি সেই সময় বর্ধমানে একটি বৈঠকে ছিলেন। তাঁর পরিবর্তে দায়িত্ব সামলেছেন ডেপুটি সুপার, জানান তিনি।
হাসপাতালের তরফে তথ্য দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে ঠিক কী কারণে তারা এই তথ্য জানতে চেয়েছেন তা তাঁর জানা নেই বলেও জানান হাসপাতালের সুপার। গত এক বছরে ওই ক্লার্কের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আসেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি। কেউ ইচ্ছে করে ভিজিল্যান্সকে চিঠি পাঠাতে পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তবে হাসপাতালে ভিজিল্যান্স দল এসে ফের ডিভিশন ক্লার্কের খোঁজ নেওয়ায় সেই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এরপরেই গুঞ্জন শুরু হয়। হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের মধ্যেও এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন, হয়তো ওই ক্লার্কের বিরুদ্ধে জেলা ভিজিল্যান্স হয়েছে। তিনি চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য কর্মীদের মাইনের বিল করেন। তাই হয়তো তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের কোনও বিষয় সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, তিনি হাসপাতালের বাগান পরিষ্কার করার বিলও তৈরি করেন।
স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা ছড়িয়েছে, তবে কি এই সংক্রান্ত কোনও বিলের জন্য তিনি ভিজিল্যান্স কমিটির আতস কাচের নীচে! তবে কী কারণে ভিজিল্যান্স তাঁর বিষয় তথ্য সংগ্রহ করছে তা স্পষ্ট নয়। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা হাসপাতালজুড়ে।