শনিবার, পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ভাঙড়ে। এবার ঘটনাস্থল ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি ব্রিজ এলাকা। জানা গিয়েছে, ২১ জানুয়ারি আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে পোস্টার মারা হচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল সমর্থকরা পোস্টার মারতে বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা ও পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এমনকী তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও তোলে আইএসএফ। যদিও আইএসএফ-এর এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের ছেলেরা পতাকা লাগানোর নাম করে ভগবানপুর অঞ্চল ঢুকে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করে। প্রতিবাদ করলে মারধর করে তারা। উলটে আইএসএফ-এর কর্মী সমর্থকরাই গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল।
তার আগে শুক্রবারও একই ঘটনা ঘটে। সেই দিন দলীয় পতাকা লাগানো কেন্দ্র আইএসএফ ও তৃণমূলেক মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ভাঙ্গরের খড়গাছি এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় চন্দনেশ্বর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় সূত্রের খবর, আইএসএফ-এর কর্মী সমর্থকরা এলাকায় দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের লোকজন বাধা দিতে আসে। তারপরেই শুরু হয় বচসা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনায় আহত হন মোট চার জন। আহতরা এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। তাঁদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নলমুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পর কলকাতায় রেফার করা হয়।
দু’দিনের এই ঘটনার পর রবিবার ভাঙড়ের বোদরায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লার। যদিও সওকট মোল্লার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আইএসএফ নেতা রাইনুর হক বলেন, ‘রাজনীতি করতে এসে খুনখুনি কেন করতে হবে? মানুষের যাঁকে পছন্দ তাঁকেই বেছে নেবে। শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে ভোট হলে ভাঙড়ে মাটিতে তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না। রক্তারক্তি না হলে ভাঙড়ের মাটিতে তৃণমূল কংগ্রেস থাকতে পারবে না। তাই আগে থেকে ভয় পেয়ে সওকত মোল্লা এসব বলছেন।’ পাশাপাশি এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘মানুষ আর তৃণমূলের সঙ্গে নেই। পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। নিরপেক্ষভাবে ভোট হলে তৃণমূল একটি ভোটও পাবে না।’