সেরা থানার পুরস্কার
রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব বিরোধীরা। অভিযোগের তির পুলিশ প্রশাসনের অক্ষমতার দিকে। ঠিক সেই আবহেই, দেশের সেরা থানা হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে হুগলি জেলার শ্রীরামপুর থানা। তাও আবার কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি। সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার দিনেই পুরস্কার শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।
কোন সমীক্ষায় সেরার সেরা?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ স্বশাসিত সংস্থা প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন পুলিশ থানা গুলি নিয়ে একটি সমীক্ষা করে। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতেই এই ফলাফল ঘোষণা। সেখানে সমীক্ষার প্যারামিটার সব কটিতেই ভাল ফল করেছে শ্রীরামপুর থানা।
কী কী কারণে সেরা?
প্রথমত, খুবই দ্রুততার সঙ্গে সমস্ত কেসের নিস্পতি। সব থেকে নজির গড়েছিল মাত্র দুই দিনের মধ্যে একটি কুখ্যাত জালিয়াতির গাং কে ধরে ফেলে। দ্বিতীয়ত, শ্রীরামপুর থানার পাবলিক রিলেশন খুবই উন্নত। থানার মধ্যে রয়েছে বাচ্চাদের জন্য শিশু বান্ধব জায়গা, থানার ভেতরে প্রবেশ করলে গোটা শ্রীরামপুর শহরের যে ঐতিহ্য তা ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে থানার ভিতরে। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য রয়েছে থানার ভিতরের পুকুরের মধ্যে মাছ ধরার ব্যবস্থা।
থানায় কী সুব্যবস্থা?
পুলিশ থানার প্রথম প্রথম তলায় হয় থানার যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ। দ্বিতীয় তলায় পুলিশ ব্যারাক। এখানের সমস্ত পুলিশদের জন্য রয়েছে ইনডোর ও আউটডোর খেলাধূলার সুবিধা। থানার মধ্যেই রয়েছে সরকারি ভেরিফিকেশন বিভাগ এস.বি. ডিপার্মেন্ট। থানার সমস্ত কাজ হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে। সব থেকে নজির সৃষ্টি করেছে এই থানার মাল খানা। অত্যাধুনিক বারকোড ট্যাগিং দিয়ে খুব দ্রুততার সঙ্গে মালখানা থেকে যেকোনো ঘটনার নথি প্রমাণ সমস্ত খুঁজে পাওয়া সম্ভব। ২০১৯ সালে থানার বর্তমান আইসি দিব্যেন্দু দাস তিনি গোটা থানাকে পরিচালনা করছেন নিপুণ হাতে।
দেশের সেরা থানার তালিকায় নাম ওঠার জন্য গর্ব প্রকাশ করে চন্দননগর পুলিশ। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার জানান, এই স্বীকৃতি অন্য জেলার অন্যান্য থানাগুলোকে আরও ভাল পরিষেবা দিতে উৎসাহ দেওয়া হবে। এটা চন্দননগর পুলিশ সহ গোটা রাজ্যের পুলিশের কাছে গর্বের ব্যাপার বলেও মতপ্রকাশ করেন তিনি।