এদিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় নাইলন সুতো বা চিনা মাঞ্জার ব্যবহারে তা থেকে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়। রাস্তার এপার ওপার, বিদ্যুতের তারে চিনা সুতো আটকে থেকে অনেক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। শ্রীরামপুর রেল ব্রিজের উপর সুতো জড়িয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অনেকেই। তাই এদিন সতর্ক ছিল পুলিশ। পৌষ সংক্রান্তিতে চিনা সুতোর ব্যবহার হচ্ছে কি না, ঘুড়ি ওড়ানোর সময় কেউ নিয়ম ভাঙছে কি না, তা দেখার জন্য ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে নজরদারি চালাচ্ছিল শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। আর সেই ড্রোনকেই প্যাঁচে ফেলে ভোকাট্টা করে দিল ঘুড়ি উড়িয়েরা। শ্রীরামপুর পাঁচবাবুর বাজার, রেল ব্রিজের উপর ঘুড়ির প্যাঁচের খেলা চলছিল। সেই প্যাঁচে পড়ে মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ল পুলিশের ড্রোন।
ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন বাবলু যাদব। তিনি বলেন, ‘পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে ঘুড়ি ওড়ানো রেওয়াজ আছে। আমরা প্রতি বছর ঘুড়ি ওড়াই। কটন সুতো ব্যবহার করি। কিন্তু অনেকেই আছে চিনা মাঞ্জার সুতো ব্যবহার করে, যা থেকে দূর্ঘটনা ঘটে। সচেতন হওয়া জরুরি। না হলে মানুষের বিপদ হতে পারে।’
এদিকে শ্রীরামপুর পুরসভার কাউন্সিলর গৌরমোহন দে বলেন, ‘চিনা সুতোয় এর আগেও শ্রীরামপুরে দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ আজ ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালাচ্ছিল। কিছু ছেলে সেই ড্রোনকেই প্যাঁচে ফেলে দেয়। আমরা চাই মানুষ সচেতন হোক। ছোটো ছেলেরা জানেই না হয়ত কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ। যেখানে চিনা সুতো বিক্রি হয় সেই জায়গায় পুলিশি অভিযান চালানো উচিত।’ রবিবারই শেওড়াফুলি বাজারে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু চিনা সুতো বাজেয়াপ্ত করেছে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। ঘুড়ির নাইলন সুতো বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
প্রসঙ্গত, চিনা সুতোর কারণের অতীতে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। কখনও মা ফ্লাইওভার তো কখনও শ্রীরামপুর ব্রিজ। দুর্ঘটনায় আহতও হয়েছেন অনেকেই। বিভিন্ন সময় চিনা মাঞ্জার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। কিন্তু তার পরেও যে চিনা মাঞ্জার ওপরে রাশ টানা যায়নি, তা এদিনের ঘটনাতেই ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।