কী ঘটনা ঘটেছে?
জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি এলাকার বাসিন্দা নিজের স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ককে মেনে তো নিলেন, তবে দিলেন কিছু শর্তও। স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে পাঁচ বছর ধরে সংসার চালানোর পরেও স্বামী টের পান স্ত্রী মনের খেয়া ভিড়িয়েছেন অন্য পাড়ে। অগত্যা, তাঁকে জোর করে বেঁধে রাখলে দাম্পত্যের বাঁধন আরও আলগা হবে। যার প্রভাব পড়তে পারে তিন বছরের সন্তানের জীবনের উপর। তাই, চুক্তি হোক!
কী চুক্তি করলেন স্বামী?
রীতিমতো ১০ জন সাক্ষী রেখে স্ট্যাম্প পেপার আনলেন স্বামী। চুক্তি করলেন, স্ত্রী তাঁর মনের মানুষের সঙ্গে যেতে পারেন, তবে লিখিত চুক্তি করতে হবে। পাশাপাশি, বছর তিনেকের সন্তানকে রাখতে হবে বাবার কাছেই। শর্ত মানলে স্ত্রীকে ছাড়তে রাজি তিনি। স্ত্রী তো তাঁর নতুন প্রেমিকের টানে পাগলপারা। অগত্যা, মেনে নিলেন স্বামীর শর্ত। পরকীয়া মেনে নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হলেন স্বামীর সঙ্গে।
ভাঙল পাঁচ বছরের দাম্পত্য
ধূপগুড়ি রেলস্টেশন সংলগ্ন বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের ভেমটিয়ার বাসিন্দা দুজনেই। পেশায় টোটো মেকানিক প্রেমে পড়েন তরুণীর। দুজনের প্রেম পূর্ণতা লাভ করে বিবাহ বন্ধনে। এরপর দু’জনের দাম্পত্য চলছিল ভালই। জন্ম নেয় সন্তান। পাঁচ বছর পর স্ত্রী যে অন্য পুরুষের আসক্ত হবেন, ভাবতে পারেনি স্বামী।
বছর খানেক আগে এলাকার আরেক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী। লুকিয়ে সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। অন্তরালে দুজনের প্রেমালাপ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। কিন্তু, সেই সম্পর্ক আর কতদিন চাপা দিয়ে রাখা সম্ভব?
পরিবারের সদস্যের কাছে ধরা পড়লেন স্ত্রী। পেশায় ছোটখাটো ব্যবসায়ী তরুণের সঙ্গে বাড়ির বউয়ের এ সম্পর্ক তো মেনে নেওয়া যায় না। ক্ষোভ বাড়ল পরিবারে। তবে হৃদয় ভাঙলেও স্ত্রীর প্রতি বিরূপ কোনও সিদ্ধান্তে যেতে চাননি স্বামী। সেই কারণেই ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপার আনিয়ে চুক্তি করলেন স্ত্রীর সঙ্গে। শেষে স্বামী বললেন, ‘ চিরকাল ওকে ভালোভাবে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন ও যদি এভাবেই ভালো থাকতে চায়, তাহলে অসুবিধা কোথায়? তাই এই ব্যবস্থা নিলাম।’ অন্যদিকে, শনিবার নতুন প্রেমিকযুগল স্থানীয় একটি মন্দিরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। শুর হয় তাঁদের নতুন জীবনের পথচলা।