পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী মহারাজও। এমত অবস্থায়, রাম মন্দির নিয়ে ‘রাজনীতি’ করাটাই শ্রেয় বলে দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। তাঁর বক্তব্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
কী বললেন সাংসদ দেবশ্রী?
‘আমরা রামকে নিয়েই রাজনীতি করি এবং করব। এটা ভারতবর্ষের প্রাণ।’ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই বিস্ফোরক রায়গঞ্জের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। রবিবার রায়গঞ্জের বন্দরে অবস্থিত রাম-সীতা মন্দিরে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন রায়গঞ্জের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন দেবশ্রী দেবী। রাম মন্দির নিয়ে যে বিজেপি রাজনীতি করছে, সেটা কার্যত স্বীকার করে নেনে বিজেপি সংসদ।
তবে এখানেই শেষ নয়। সাংসদ আরও বলেন, ‘আমরা রামকে নিয়ে যেটা করি সেটা সদর্থক রাজনীতি। আর বিরোধীরা রামকে নিয়ে যেটা করে সেটা ঘৃণ্য রাজনীতি। তাঁর এই বক্তব্যের পরেই তৈরি হয়েছে বিরোধিতা। এমনিতেই, বিজেপির ধর্মীয় রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে রাজনীতিকরণের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন একের পর এক তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার কার্যত সেই অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলেই দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ।
তৃণমূল কী বলল?
বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রায়গঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী জানান, ওঁর কথার আমরা গুরুত্ব দিতে চাই না। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘রামায়ণের কোনও চরিত্রের সঙ্গে ওঁর যদি তুলনা করা যায়, সেটি হল সুর্পনখা। ওঁর মুখে রামের ত্যাগ এবং রাম রাজত্বের কথা মানায় না। উনি যেভাবে মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করেন, তাতে এসব কথা ওঁকে মানায় না।’
রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে বিজেপির আত্মকেন্দ্রীকরণ করা নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আগেই বলেন, ‘আমরা ভগবান রামকে পুজো করি। তাঁকে হৃদয়ে রাখি, মন্দিরে পুজোও করি। কিন্তু, বিজেপি রামকে নির্বাচনী এজেন্ডা হিসেবে ব্যবহার করে। ভোটের জন্য ব্যবহার করে।’ তবে বিজেপি যে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতি করছে, মানুষের সমর্থন টানতে মন্দির উদ্বোধনের ইস্যুটিকে ব্যবহার করবে, সেটাই বিজেপি সাংসদের বক্তব্যে পরিষ্কার বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।