West Bengal News Today,খুদেরাই এখানে ‘পাকা’ ব্যবসায়ী, অভিনব ‘শিশুদের হাট’ বসল গোবরডাঙায় – children are selling food products at special haat in gobardanga uttar 24 parganas


এটার মোট দাম হয়েছে ষাট টাকা! আধো আধো গলায় বলল খুদে। খুদে হলেও সে এখন পাকা ব্যবসায়ীর ভূমিকায়। হাট বসেছে মাঠে। সেখানে বিক্রেতার ভূমিকায় পাঁচ থেকে পনেরো বছর বয়সের কচিকাঁচারা। অভিনব শিশুদের হাটের আয়োজন হল উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা এলাকায়। শীতের আমেজে নানা পদের খাবার বিক্রি করল খুদেরা। বয়সে ছোট হলেও হিসেবে পাকা ব্যবসায়ীদের পেয়ে খুশি ক্রেতারাও।

কী আয়োজন হাটে?

বাড়ী থেকে তৈরি করে আনা নানা বিধ প্রিয় খাবারের পসরা সাজিয়ে বসে আছে খুদে দোকানিরা। এদের কারও বয়স ৫ বছর তো কারও বয়স ১৫ বছর। তবে প্রত্যেকেই ইচ্ছা খুশিমতো জিনিসপত্র এনে ব্যবসা করলেন লাভের আশায়। কেউ লাভ করলেন বেশি আবার কেউ কম। ক্রেতাদের থেকে ঠিকঠাক দর কষাকষি করে জিনিসের দাম বুঝে নিলেন অনেকে। ঠিক পাকা ব্যবসায়ীর মত।

কোথায় আয়োজন শিশুদের হাটের?

রবিবার ১৫ জানুয়ারি বিকেলে গোবরডাঙার বাবু পাড়ার সম্মিলনী ক্লাবের মাঠে জড় হয়েছিল জনা পঞ্চাশ শিশু। উপলক্ষ্য শিশুদের হাট। যেখানে তারা নিজেদের সম্ভার বিক্রি করতে পারছেন সরাসরি ক্রেতাদের। সঙ্গে ছিল পিঠেপুলি উৎসব ও সেরা রাঁধুনির প্রতিযোগিতা। আবেক্ষণ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এই অভিনবত্ব শিশু হাটের আয়োজন করেন। সেখানে কেবলমাত্র ৫ থেকে ১৫ বছরের শিশুরাই নিজেদের পণ্য সামগ্রী বিক্রি করতে পারবেন সাধারণ মানুষের কাছে।

উৎসুক শিশু ও তাদের অভিভাবকরা ভিড় জমান প্রতিবছর গোবরডাঙার এই আবেক্ষণের অনুষ্ঠানে। উৎসাহ দিতে প্রত্যেককে দেওয়া হল সার্টিফিকেট এবং পুরস্কার। সংগঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা পলাশ মুখোপাধ্যায় জানান, নতুন কিছু ভাবনা এবং শিশুদের মধ্যে নতুন কিছু চিন্তা ভাবনাকে কেন্দ্র করেই এই মেলা। সেখানে শিশুদেরই হাট বাজারের পাশাপাশি মঞ্চে সারাক্ষণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চলে। কেউ আবৃতি, কেউ গান, কেউ নয় নিত্য পরিবেশন করেন সর্বসমক্ষে। গোবরডাঙ্গায় প্রায় ৩১ বছর ধরে এই অনুষ্ঠান চলছে।

প্যারিস নয়, কলকাতার রাজপথ এখন ক্যানভাস গ্রাফিটি উৎসবে
মেলায় ঘুরতে আসা এক ব্যক্তি জানান, আমি আগেও এসেছি এই শিশুদের হাটে। খুব সুন্দর উদ্যোগ এটা। বাচ্চাদের সঙ্গে তাঁদের অভিভাবকরাও পাশে থাকেন। বেশ মজা লাগে ওদের থেকে কিছু জিনিস কেনাকাটা করতে। ওরাও পাকা ব্যবসাদারের মতো নানা জিনিস বিক্রি করেন। আরেক ক্রেতার কথায়, ‘কোনও কিছুর কেনার থেকেও ওদের কাণ্ডকারখানা দেখতে বেশ মজা লাগে। সেই কারণেই এখানে আসা। পরবর্তীকালে এই শিক্ষা ওদের অনেকটাই কাজে লাগবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *