জানা গিয়েছে এলাকার এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন জ্যোতিপ্রকাশ মণ্ডল। যার জেরে নিজের স্ত্রীয়ের সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকত তাঁর। লাগাতার অশান্তিতে একটা সময় আলাদা থাকতে শুরু করেন তাঁর স্ত্রী। তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন জ্যোতিপ্রকাশ। অভিযোগ, তার জেরেই হয়ত গতরাতে ছেলে ও মেয়েকে প্রথমে খুন করেন জ্যোতিপ্রকাশ। তারপর নিজে আত্মঘাতী হন।
জ্যোতিপ্রকাশ মণ্ডলের স্ত্রী লাবনী মণ্ডল বলেন, ‘ওই মহিলা বাগানে কাজ করত। আমি বলেছিলাম একটা ছেলেকে কাজে রাখ। সেটাই আমার অন্যায় হয়েছিল। সেটা বলায় আমায় রাতের বেলা খুন করতে যায়। কিন্তু আমি বেঁচে যাই। আমার বাবা আসে, আমি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।’
মৃতের বাবা প্রভাস মণ্ডল বলেন, ‘সংসারের তো আমি কোনও কিছু দেখি না। ওরা দোতলায় থাকত। সেখানে কী হয় আমি জানি না। কাল বিকেলে ছেলে ওর ছেলে মেয়েকে নিয়ে মাঠে খেলা করছিল। আজ সকালে শুনলাম এই ঘটনা। ওদের পারিবারিক কী বিষয় আমি জানি না।’ স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, প্রতিদিনই ছেলে মেয়েকে নিয়ে মাঠে আসেন জ্যোতিপ্রকাশ। আজ সকালে একজন দেখতে পায়। সেই গিয়ে খবর দেয়।
এদিকে এই জেলারই মধ্যমগ্রামে স্ত্রীকে গলা কেটে খুনের পর দেহ ৬ টুকরো করে বস্তায় ভরে খালের ফেলার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। খুনের পর অভিযুক্ত স্বামী নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে অভিযুক্ত। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক বিবাদ চলছিল সম্পর্কে দম্পতি সায়েরাবানু বিবি এবং নুরউদ্দিন মণ্ডলের মধ্যে। জমিটি নিজের মেয়েকে দেবেন বলে রেখেছিলেন সায়েরাবানু। কিন্তু সেই জমি নিজের নামে লিখিয়ে নিতে চাইত তাঁর স্বামী নুরউদ্দিন। আর তার জেরেই নুরউদ্দিন মণ্ডলের হাতে সায়েরাবানু বিবিকে খুন হতে হল বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সায়েরাবানুর দেহের কিছুটা অংশ উদ্ধার হয়েছে। বাকি অংশের খোঁজ চলছে।