২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১ কোটি ৯৪ লাখ ১৮০ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে আবারও ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার কাজ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে প্রথম পর্বে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের দেওয়া ৭৩ লাখ টাকা ঢুকেছে। সেই টাকায় কাজের মূল্যায়নে রাজ্যের ৩৪৪টি পঞ্চায়েত সমিতিকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থান দখল করেছে মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি। চলতি অর্থবর্ষে ৯৯.১৭ শতাংশ খরচের পরিমাণ তাক লাগিয়ে দিয়েছে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের।
তারপরেই রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া পঞ্চায়েত সমিতি। চলতি অর্থবর্ষে তাদের ব্যয় করা অর্থের পরিমাণ ৯২.১ ১ শতাংশ। মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির থেকে খরচে ৭ শতাংশ পিছনে রয়েছে কাটোয়া পঞ্চায়েত সমিতি। মহিষাদল ব্লকে রয়েছে ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েত। প্রতিবছর উন্নয়ন কাজের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি ৬০ লাখ করে টাকা পেয়ে থাকে। বিভিন্ন গ্রাম উন্নয়নমূলক কাজে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিও পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে সম্মিলিতভাবে সম্মানজনক জায়গায় রয়েছে। রাজ্যের মূল্যায়নে গড়ে ৮৪.৭৭ শতাংশ টাকা খরচ করে রাজ্যে পঞ্চম স্থান দখল করেছে মহিষাদল ব্লক। এমন জোড়া সাফল্যে খুশির হাওয়া এলাকায়। এই বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী শিউলি দাস বলেন,’আমরা সারা বছর উন্নয়ন কাজের সঙ্গে থাকি। মানুষকে যথাসাধ্য পরিষেবা দিতে আমরা দায়বদ্ধ। আজ রাজ্যের প্রশাসনিক মূল্যায়নেও তা প্রমাণিত হল। এই সাফল্য আমাদেরকে আরও বেশি কাজ করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করেছে।’
মহিষাদল বিধানসভার বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘এই সাফল্য মহিষাদলবাসীর সকলের সাফল্য। প্রশাসনিক জায়গায় পরিকল্পনা তৈরি করে আমরা এলাকায় রূপায়ণের উদ্যোগী হই ঠিকই। কিন্তু এলাকার মানুষের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সহযোগিতা থাকে বলেই আমরা কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে করতে পারি। তাই আগামীদিনে এলাকার মানুষজনকে সঙ্গে নিয়ে আরও বেশি বেশি উন্নয়ন কাজ হবে এই আশা রাখি। উন্নয়ন কাজে আমাদের আরও বেশি দায়িত্ব বেড়ে গেল।’ এবার এলাকাভিত্তিক ছোট বড় বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলি সমাধানে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে বলে মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে।
