জানা গিয়েছে, জেলা-মহকুমা-স্টেট জেনারেল হাসপাতালে রোগ পরীক্ষাকেন্দ্র গড়ার জন্য আগ্রহী রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে তা তৈরি হতে চলেছে। আর এই জন্য ১২কোটি ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে।
কী কী পরিষেবা পাওয়া যাবে এই রোগ পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি থেকে?
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, রোগ পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি থেকে সিটি স্ক্যান, ডিজিটাল এক্স রে, পেটের স্ক্যান, এমআরআই-এর মতো পরীক্ষাগুলি করাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। ফলে তাঁদের আর দূর দূরান্তের কোনও পরীক্ষাকেন্দ্রে ছুটতে হবে না। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এই উদ্যোগের ফলে বহু মানুষ উপকৃত হতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে?
এই রোগ পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে সিটি স্ক্যান থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র গড়ে উঠতে চলেছে। যেহেতু তা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে তৈরি করা হচ্ছে তাই খরচও অপেক্ষাকৃত কম হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই উদ্যোগ সফল হলে সাধারণ মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগ
> ক্ষমতায় আসার পরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলিকে ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপ করেছিল সরকার। জেলায় জেলায় হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। একাধিক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালও তৈরি করা হয়েছিল।
> শুধু তাই নয়, চিকিৎসা পরিষেবা পেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই জন্য রাজ্য সরকারের তরফে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চালু করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় থাকা রাজ্যবাসী বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালগুলি থেকে নিজেদের চিকিৎসা করাতে পারবেন। আর সেই জন্য নির্দিষ্ট শর্তগুলি পূরণ করলেই একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক দেওয়া হবে সরকারের ভাঁড়ার থেকে।
দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হলে নতুন করে কোনও প্রকল্প ঘোষণা করা সম্ভব হবে না। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের জন্য উদ্য়োগী রাজ্য সরকার। সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে পঞ্চায়েতে নিয়োগের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশেও বিপুল নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।