এই আবেদনের প্রেক্ষিতেই বুধবার মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট বলে, ‘গত বছর রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে কী ঘটেছিল সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে ISF-কে। কারণ শুধু তারা বা তৃণমূল নয়, সব দল এমন সভা করে যেসমস্ত ক্ষেত্রে দমন গোলমালের অভিযোগ ওঠে না।’
বিচারপতি এদিন আরও বলেন, ‘লোক আনার ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ রাখুক সংগঠন। কারণ সভা করতে বারণ করছে না কোর্ট। তবে সেই নিয়ে সংগঠনের বক্তব্য জানতে চায় কোর্ট।’ অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ‘ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে থেকে সভা একটু সরিয়ে অন্যত্র করা হোক।’
অন্যদিকে, বিচারপতি পালটা বলেন, ‘মঞ্চ ওই জায়গাতেই হবে। তৃণমূল ওই জায়গায় সভা করে। অন্য দলও সেখানে সভা করে। সেক্ষেত্রে ISF নয় কেন? তবে লোক কম হোক। কিন্তু, বাড়ানো হোক পুলিশ সংখ্যা। কিন্তু, এই সংগঠনকে সভা ওখানেই করতে হবে।’ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘ওই দিন ভিনটেজ কার র্যালি হবে। ওই জায়গা দিয়ে হবে। ফলে সমস্যা হতে পারে।’
বিচারপতি বলেন, ‘র্যালি বন্ধ করে দিতে চলছি না। কিন্তু, ওরা আগে আবেদন করেছে। তাই লোক সংখ্যা বেঁধে দিয়ে ওখানেই সভা করতে দিতে হবে।’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামীকাল। ISF কত সংখ্যক লোক নিয়ে এই সভা করতে পারবে, তা জানাতে হবে আদালতে।
প্রসঙ্গত, গত বছর জানুয়ারি মাসে কলকাতায় রানি রাসমণি রোডে বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছিল ISF। সেই সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল ISF-এর বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল।
কিছুদিন আগেই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে রাজনৈতিক সভা করার অনুমতি পায় গেরুয়া শিবির। ISF-এর থেকে একগুচ্ছ প্রশ্নের উত্তর চায় আদালত। কী কারণে গত বছর রাসমণি রোডের কর্মসূচিতে অশান্তি হয়েছিল সেই ঘটনাটি প্রসঙ্গে বিস্তারিত হলফনামা জমা দিতে হবে আদালতে। পাশাপাশি এই কর্মসূচিতে কত সংখ্যক মানুষের জমায়েত হতে চলেছে, আলোচনায় উঠে এসেছে সেই বিষয়টিও।