তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডেলে ‘নো ভোট ফর মোদী’ শিরোনামে দেশের কর্মসংস্থানের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে দেশে বেকারির হার ছিল ৫.৪৪ শতাংশ। মোদী জমানায় এক দশকে বেকারত্বের হার ১০.০৯ শতাংশ হয়েছে। বাংলা, ইংরেজি একাধিক ভাষায় এই প্রচার শুরু হয়েছে। যার দায়িত্বে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া টিম।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে একটি ভোটকুশলী সংস্থা তৃণমূলের পরামর্শদাতার ভূমিকায় যুক্ত হয়। তারপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোড়াফুলের প্রচারের ধার অনেকগুণ বৃদ্ধি পায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর এই প্রচার আরও শাণিত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখপাত্ররা যাতে একসুরে কথা বলেন সেই উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথায়, ‘দলের সোশ্যাল মিডিয়া টিম, মুখপাত্ররা সর্বক্ষণ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। কোনও ঘটনা ঘটলে কোন সুরে কথা বলা হবে, সেই ঘটনার ব্যাকগ্রাউন্ড, বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেই গবেষণার কাজ তৃণমূলে অহরহ হতে থাকে। তাই তৃণমূলের মুখপাত্র কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া টিম সর্বক্ষণ সক্রিয়।’
সোশ্যাল মিডিয়াতে গেরুয়া শিবির চিরকাল অতিসক্রিয় হলেও বাংলায় বিজেপির আইটি টিমের কাজে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন অমিত শাহ। তাই কয়েক সপ্তাহ আগে ঝটিকা সফরে রাজ্যে এসে অমিত শাহ বঙ্গ বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া টিমকে আরও চাঙ্গা করার নির্দেশ দিয়েছেন। শাহি নির্দেশের পর মঙ্গলবার আইসিসিআর প্রেক্ষাগৃহে বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া টিমের কর্মশালা হয়েছে।
সেখানে হাজির ছিলেন দলের শীর্ষ নেতা দিলীপ ঘোষ এবং প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও। ওই কর্মশালা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ানোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের নানা প্রকল্পের সুবিধা অন্যান্য রাজ্যগুলি কী ভাবে পাচ্ছে, তা প্রচার করতে বলা হয়েছে।
যদিও তৃণমূল এই কর্মশালাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। কুণালের কথায়, ‘তৃণমূলের মুখপাত্র সহ যাঁরা প্রচারের কাজ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মকাণ্ড তাঁদের মুখস্ত। কিন্তু বিজেপির লোকদের শেখাতে হচ্ছে, কী বলতে হবে।’