Dibyendu Adhikari : ‘সংহতি দিবসের নামে বাংলায় অশান্তি ছড়ানো হতে পারে’, আশঙ্কা প্রকাশ করে শাহকে চিঠি দিব্যেন্দুর – dibyendu adhikari mp writed a letter to amit shah about 22 january sanghati michil


‘আগামী ২২ তারিখ রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি ছড়াতে পারে,’ এই আশঙ্কা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি কিছু নেতা সংহতি দিবসের নামে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করছেন। চিঠিতে দিব্যেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘হতাশাগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা বিভাজনের আগুনকে উষ্কানি দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’ প্রসঙ্গত, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বার্ষিকী উপলক্ষে সংহতি দিবস পালন করে তৃণমূল। শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেই নয়, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকেও চিঠি লিখেছেন সাংসদ। সপ্তাহখানেক আগেই বাবা শিশির অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, আগামী ২২ তারিখ উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দিরের। আর মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে একেবারে সাজসাজারব গোটা অযোধ্যাজুড়ে। কার্যত রাজসূয় যজ্ঞের প্রস্তুতি হচ্ছে অযোধ্যায়। মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও সেই রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি। পরিবর্তে ওই দিন কলকাতায় সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানিয়েছেন, সকালে কালী মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। তারপর হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস ময়দান পর্যন্ত মিছিল করে যাবেন। সেখানে একটি সভাও করবেন মমতা। মিছিলে সাধারণ মানুষকে যোগদানের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। আর এখানেই শেষ নয়, ওই দিন প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি ব্লকে সম্প্রীতি মিছিল করার জন্যও দলকে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Dibyendu Adhikari

দিব্যেন্দু অধিকারীর চিঠি

এদিকে ওই দিন মিছিল করলে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে বলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও সেই মামলা বৃহস্পতিবার খারিজ হয়ে যায় হাইকোর্টে। আদালত জানিয়েছে, সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে করতে হবে মিছিল। হাজরা মোড় থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত নিরপত্তা দেখবে কলকাতা পুলিশ। বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের যে আর্জি জানানো হয়েছিল, তাও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়ে আদালত জানিয়েছে, এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই।

প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বারেবারেই অভিযোগ করছে, এর মাধ্যমে ভোটের আগে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। যদিও সেই অভিযোগ বারেবারেই অস্বীকার করে চলেছে বিজেপি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *