প্রসঙ্গত, আগামী ২২ তারিখ উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দিরের। আর মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে একেবারে সাজসাজারব গোটা অযোধ্যাজুড়ে। কার্যত রাজসূয় যজ্ঞের প্রস্তুতি হচ্ছে অযোধ্যায়। মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও সেই রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি। পরিবর্তে ওই দিন কলকাতায় সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানিয়েছেন, সকালে কালী মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। তারপর হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস ময়দান পর্যন্ত মিছিল করে যাবেন। সেখানে একটি সভাও করবেন মমতা। মিছিলে সাধারণ মানুষকে যোগদানের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। আর এখানেই শেষ নয়, ওই দিন প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি ব্লকে সম্প্রীতি মিছিল করার জন্যও দলকে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দিব্যেন্দু অধিকারীর চিঠি
এদিকে ওই দিন মিছিল করলে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে বলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও সেই মামলা বৃহস্পতিবার খারিজ হয়ে যায় হাইকোর্টে। আদালত জানিয়েছে, সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে করতে হবে মিছিল। হাজরা মোড় থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত নিরপত্তা দেখবে কলকাতা পুলিশ। বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের যে আর্জি জানানো হয়েছিল, তাও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়ে আদালত জানিয়েছে, এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই।
প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বারেবারেই অভিযোগ করছে, এর মাধ্যমে ভোটের আগে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। যদিও সেই অভিযোগ বারেবারেই অস্বীকার করে চলেছে বিজেপি।