Drinking Water : অচল পাম্প, জলসঙ্কট জারি – drinking water crisis in bally howrah area residents are in trouble


এই সময়, বালি: জল সঙ্কটের ষষ্ঠ দিনেও মিটল না বালি পুর এলাকায় জলের আকাল। বুধবারও বিভিন্ন এলাকায় জলের ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে মানুষের চাহিদা মেটানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন পুর আধিকারিক ও কর্মীরা। পরিস্থিতি সামলাতে কলকাতা, হাওড়া পুর নিগম ও উত্তরপাড়া পুরসভা থেকে ধার নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত জলের ট্যাঙ্ক।

বালি পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভায় রয়েছে নিজস্ব মাত্র ২৫টি এক হাজার লিটারের জলের ট্যাঙ্ক। পুর এলাকার মোট ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে রেল লাইনের পশ্চিম দিকে লিলুয়ায় রয়েছে ৮টি ওয়ার্ড আর বেলুড়ের মধ্যে থাকা লিলুয়া রেলওয়ে কলোনিতে রেলের নিজস্ব জল সরবরাহ ব্যবস্থা থাকায় অবশিষ্ট ২৬ ওয়ার্ডে জল সঙ্কটে ভুগছেন মানুষ। বাসিন্দাদের প্রয়োজন মেটাতে সেই সমস্ত এলাকায় ট্যাঙ্কে করে জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়া পুরসভা থেকে পাওয়া গিয়েছে ২২টি ট্যাঙ্ক। সেগুলির জলধারণ ক্ষমতা ১২০০ লিটার। কলকাতা পুরসভা থেকে ৩ হাজার ৬০০ লিটার মাপের ৫টি ও হাওড়া পুরসভা থেকেও সম মাপের তিনটি ট্যাঙ্ক পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ সময় কমিয়ে ২ ঘণ্টার পরিবর্তে এক ঘণ্টা জল দিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা হয়েছে।

এ দিকে, কেএমডিএ-র অকেজো হয়ে যাওয়া পাম্পটি দ্রুত মেরামতের চেষ্টা চলছে। ওই পাম্পটির যে শ্যাফটগুলি ভেঙে গিয়েছে, তা দ্রুত পাল্টে পাম্পটিকে সচল করার জোরদার চেষ্টা চালাচ্ছেন কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়াররা। আগামী দু’দিনের মধ্যে পাম্প মেরামতি শেষ করে চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

জানা গিয়েছে, বালি পুর এলাকায় কেএমডিএ প্রকল্প থেকে প্রতিদিন ৩৭-৩৮ এমএলডি (মিলিয়ান লিটার প্রতিদিন) জল পাওয়া যায়। অকেজো পাম্পটি তুলে নেওয়ায় সেই উৎপাদন কমেছে প্রায় ৮-১০ এমএলডি প্রতিদিন অর্থাৎ প্রতিদিন অন্তত ৮০ লক্ষ লিটার জল কম পাওয়া যাচ্ছে। প্রকল্প থেকে মঙ্গলবারও ২৭ এমএলডি জল পাওয়া গিয়েছে। সোমবার পাওয়া গিয়েছিল ২৬ এমএলডি। ফলে দৈনিক ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটি লিটার জল ট্যাঙ্কে করে পৌঁছে কী ভাবে পরিস্থিতির চাপ সামলানো যাবে, তা নিয়ে রাতের ঘুম উড়েছে জল সরবরাহ বিভাগের কর্মী থেকে আধিকারিকদের।

পুরসভার পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে কেএমডিএকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে আরও একটি নতুন পাম্পের ব্যবস্থা করার জন্য। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত বিকল্প পাম্পটি ব্যবহার করে পরিস্থিতি সামলানো যায়। জল সঙ্কট নিয়ে এ দিন বালির পুরপ্রশাসক তথা হাওড়া সদরের মহকুমাশাসক অমৃতা বর্মন রায় বলেন, ‘আপাতত বালির পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতা, হাওড়া পুর নিগম ও উত্তরপাড়া পুরসভা থেকে অতিরিক্ত জলের ট্যাঙ্ক এনে বেলি বেলুড়ের প্রতিটি এলাকায় জল সরবরাহ চালু রাখা হয়েছে। আশা করছি আগামী দু’দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’

Kolkata Municipal Corporation : বেআইনি বাড়ি ভাঙতে গিয়ে বিপাকে পুরসভা
বিরোধীরা অবশ্য পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘদিন বালিতে নির্বাচিত পুরবোর্ড না থাকার বিষয়টির দিকেই আঙুল তুলছে। তাঁদের দাবি, ২০১৫ সালে বালির নির্বাচিত পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হলে হাওড়ার সঙ্গে বালিকে যুক্ত করে ৩৫টি ওয়ার্ডের জায়গায় ১৬টি ওয়ার্ডে পুনর্গঠন করে উপনির্বাচন হয়েছিল। পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে হাওড়া পুরনিগমের মেয়াদ শেষ হলে বালিও পুর প্রতিনিধিহীন হয়ে পড়ে।

ফলে শুধুমাত্র আমলা নির্ভর পুরসভায় মানুষের প্রতিদিনের সমস্যার কথা বলার কেউ না থাকায় সমস্যা বাড়ছে। বিদায়ী পুর কাউন্সিলাররাই প্রতিদিন মানুষের পাশে থাকেন ও তাঁদের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেন বলে দাবি করেছে শাসকদল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *