সূত্রের খবর, গত বছর বইমেলায় ১২ দিনে বিধাননগর ও কলকাতা পুলিশে এমন প্রতারণা ও প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগ জমা পড়েছে মোট ১৪৭টি। বেশির ভাগ অভিযোগের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রতারিতরা নিজের নাম ছাড়াও ফোন নম্বর বা ইমেল আইডি-র মধ্যে কোনও একটা বইমেলায় ওইসব কুপনে উল্লেখ করে এসেছিলেন। আর সেই দিয়েই হয়েছে প্রতারণা। অভিযোগ, কারও ক্ষেত্রে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকা তো, কারও ক্ষেত্রে অজান্তেই ঘাড়ে চেপেছে ঋণের বোঝা! কোথাও আবার ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে দেওযার ভয় দিয়ে জোর করে নেওয়া হয়েছে টাকা।
এবার তাই এই ধরণের প্রতারকদের ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশ। সূত্রের খবর, শপিং মল, বাজার এলাকা বা মেলা চত্বর থেকে জোগাড় করা মানুষের এই সমস্ত তথ্যই চলে হয়ে যাচ্ছে জামতাড়া-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রতারকদের কাছে। সংগৃহিত সেই সব ফোন নম্বর বিক্রি হচ্ছে ডার্ক ওয়েবে। এবার তাই এই ধরণের তথ্য সংগ্রহ আটকাতে শুরু থেকই মেলায় নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। সেক্ষেত্রে যাঁরা কুপন হাতে ঘুরবেন, তাঁদের সমস্ত তথ্য লিখে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এমনকী তাঁরা কোন সংস্থার হয়ে কাজ করছেন, বা আদতেও কোনও সংস্থার প্রতিনিধি কি না, সেই বিষয়টিও খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
এছাড়া কলকাতা পুলিশ নাগরিকদের সতর্ক করার জন্য সাইবার সুরক্ষা সংক্রান্ত স্টিকার তৈরি করেছে বলে খবর জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতি বছর এই ধরণের লিফলেট রাখা হয়, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেগুলি হাত মুছে বা মুড়িয়ে ফেলে দেন মানুষ। তাই এইবার স্টিকার ছাপানো হচ্ছে। যাতে সেগুলি বাড়ির আশপাশে বা প্রকাশ্য কোনও জায়গায় কেউ সাঁটিয়ে রাখতে পারেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে মানুষ সচেতন হবে বলেই মনে করছেন পুলিশ কর্তারা।