Primary Teacher Recruitment 2024 : ‘রুদ্ধশ্বাস কত প্রতীক্ষা…!’ ৬০ পেরিয়ে চাকরি, মুখ খুললেন হুগলির দীনবন্ধু-অচিন্ত্যরা – hooghly several 60 years above persons get primary teacher appointment letter


শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এসএসসি থেকে প্রাথমিক, সবক্ষেত্রেই উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। আদালতে চলছে মামলা। রাস্তায় চলছে চাকরি পার্থীদের আন্দোলন। অভিযোগ, যোগ্যদের চাকরি না দিয়ে তা বিক্রি করা হয়েছে অযোগ্যদের। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতারও হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

সেক্ষেত্রে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে এত হইচই, ঠিক সেই সময় সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর খবর। প্রাথমিকে চাকরি পেলেন ষাটোর্ধ্ব ৬২ জন। এছাড়াও এমন আরও ৪ জন চাকরি পেয়েছেন, যাঁদের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি হুগলি জেলার। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যের শিক্ষামহলে। যদিও এখনও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।

চাকরি পেয়ে কী বলছেন তাঁরা?
যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদেরই মধ্যে একজন অচিন্ত্য আদক। তিনি বলেন, ‘আমরা ৮৩ সাল থেকে কেস করছি। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। তখন বামফ্রন্ট সরকার ছিল, চাকরি দেয়নি। তৃণমূল সরকারও দেয়নি। গতবছর ২০ ডিসেম্বর রায় হয়। আমরা ৬৬ জন ছিলাম। সেই সময় বামফ্রন্ট সরকার, তৃণমূল সরকার কেউই রায় মানেনি। জানুয়ারি মাসে নিয়োগপত্র পেলাম। স্কুলে জয়েন করার জন্য বলল। সেই জন্য এসআই অফিসে এসেছি। ৭১ বছর বয়েছে চাকরি হয় না। কী করে দিল জানি না। আমার ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলাম।’ হাইকোর্ট বলেছিল, কমপক্ষে ২৬ বছর ধরে এরা লড়াই করছে, এদের একটা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হোক।’ অচিন্ত্য আদক আরও বলেন, ‘কী করে চাকরি করব? আমাদের তো ৭০-৭১ পেরিয়ে গিয়েছে। অবসরই তো ৬০ বছরে। আমার কী করে ষাটের উর্ধেব করব?’

দীনবন্ধু ভট্টাচার্য নামে অপর একজন বলেন, ‘বামফ্রন্ট নিয়ম মানেনি। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের পরিবর্তে প্রশিক্ষণহীনদের বেশি করে চাকরি দিয়েছিল। প্যানেলটা বাতিল করে দিয়েছিল। এখন কী করে নিয়োগপত্র হল জানি না। জানুয়রিতে নিয়োগপত্র এসেছে, আমরা এসআই অফিসে এসেছি। আমাদের জেলাপরিষেদর চেয়ারম্যান নির্দেশ দিয়েছি যে এসআই অফিসে গিয়ে জয়েন করতে, আমরা এসেছি।’

Primary Teacher : কেউ ৬০ পেরিয়েছেন, কারও হয়েছে মৃত্যু! হুগলিতে প্রাথমিকের নিয়োগপত্র ঘিরে শোরগোল
কী বলছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ?
এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলা তথা গোটা রাজ্যের শিক্ষামহলে। যদিও এই বিষয়ে হুগলি এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ার পার্সন শিল্পা নন্দী। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রায় দেয় এই প্রার্থীদের নিয়োগ পত্র দিতে হবে। সেই মত ৬৬ জনের নিয়োগপত্র তৈরি করা হয়, আদালতের নির্দেশ মতোই এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেই দাবি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *