আইনে এই ধরনের কোনও সংস্থান রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে এখনও কোনও ঘোষণা করা হয়নি। পুরো বিষয়টিই একেবারে প্রাথমিক আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে বল সূত্রের খবর। অর্থাৎ কোনওভাবেই যাতে প্রশাসনিক কাজে সাধারণ মানুষকে নাজেহাল হতে না হয় সেই জন্য তৎপর প্রশাসন। উল্লেখ্য, বুধবার বিকেলে ‘সমস্যায় সমাধান-জনসংযোগ’ শুরুর আগে একটি বৈঠকে যোগদান করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এদিন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানান, যদি সরকারি কর্মীরা কোনওভাবে কাজে ফাঁকি দেন সেক্ষেত্রে তা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
প্রয়োজনে তাঁদের টার্মিনেশন পর্যন্ত করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি যদি প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে শনি-রবিবারও কাজ করতে হবে সরকারি কর্মীদের, এমনও প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। এরপরেই ক্ষোভের সুর শোনা যায় DA আন্দোলনকারীদের কণ্ঠে।
তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারি কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে মহার্ঘ ভাতার নিরিখে বঞ্চিত। কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সুর চড়িয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, রাজ্য AICPI অনুযায়ী ডিএ দিচ্ছে না। ফলে আন্দোলন-ধর্মঘটের পথে হেঁটেছে তাঁরা।
আর সেই কারণেই ডিএ আন্দোলন স্তব্ধ করার জন্য এই ধরনের মন্তব্য বলে দাবি করেছেন আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা। এই প্রসঙ্গে সরব হয়েছে সরকারি কর্মচারি পরিষদ, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, ইউনিটি ফোরামের মতো সংগঠনগুলি।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তার প্রশংসা করেছেন রাজ্য শাসক দলের নেতারা। সাধারণ মানুষের পরিষেবা পেতে যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয় সেই জন্যই এই বার্তা বলে দাবি করেছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, বিভিন্ন সরকারি দফতরের কাজকর্ম ঠিক মতো হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন সরকারি দফতরে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের যাতে পরিষেবা পেতে কোনও সমস্যা না হয় সেই জন্য আগেও বার্তা দিয়েছেন তিনি।