West Bengal Government Employee : কত কর্মী নিয়োগ হয়েছে, তথ্য তলব নবান্নের – tmc government how many employees appointed in state nabanna asked for information


তাপস প্রামাণিক

তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি অফিসে কত কর্মী নিয়োগ হয়েছে, তা জানতে বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সচিবদের চিঠি দিলেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। স্থায়ী কর্মচারীর পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক এবং ক্যাজুয়াল কর্মীদের সংখ্যাও সেখানে জানাতে বলা হয়েছে। লোকসভা ভোটের মুখে মুখ্যসচিবের পাঠানো এই নির্দেশিকাকে ঘিরে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে।

মুখ্যসচিব চিঠিতে জানিয়েছেন, ২০১১ সালের মে থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্য সরকারের অধীনস্ত বিভিন্ন সরকারি অফিস ছাড়াও পুরসভা, পঞ্চায়েত, পুলিশ, স্বশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, জেলা, মহকুমা এবং ব্লক স্তরে যত কর্মী নিয়োগ হয়েছে, তাদের পুঙ্খানুপুঙ্খ তালিকা নবান্নের কাছে পাঠাতে হবে দপ্তরগুলিকে। গ্রুপ-এ, গ্রুপ-বি, গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি সহ বিভিন্ন সরকারি পদে কতজন নতুন কর্মী নিয়োগ হয়েছে, সেই তালিকা পেশ করতে হবে।

সেই রিপোর্টে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, প্রধান সচিব, সচিব কিংবা জেলাশাসকদের সই থাকা বাধ্যতামূলক।
নবান্নের খবর, এই তালিকা হাতে আসার পরে তা আনুষ্ঠানিক ভাবে জনসমক্ষে আনা হবে। রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার ব্যাখ্যা, শিক্ষক ও পুর নিয়োগে দুর্নীতিতে রাজ্যের একাধিক নেতা-মন্ত্রী গ্রেপ্তার হওয়ায় সরকারের নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে জনমানসে ভুল বার্তা যাচ্ছে।

দেখুন নবান্নের নির্দেশিকা
এই সুযোগে শাসক দলকে কোণঠাসা করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। প্রচারটা এমন ভাবে হচ্ছে যেন, এই সরকারের আমলে সবটাই ঘুরপথে নিয়োগ হয়েছে। এর ফলে ভোটবাক্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এই সমস্যার মোকাবিলা করতেই বর্তমান সরকারের আমলে কত কর্মী নিয়োগ হয়েছে, সেই তথ্যটাকে জনসমক্ষে আনতে চাইছে সরকার।

এই উদ্যোগের পিছনে আরও একটি যুক্তি খাড়া করছেন নবান্নের কর্তারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা, পঞ্চায়েত এবং স্বশাসিত সংস্থাগুলিতে হাজার হাজার অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ হয়েছে। তার মধ্যে একটা বড় অংশই নবান্নকে অন্ধকারে রেখে করা হয়েছে। সেই সব কর্মীদের বেতন মেটাতে এখন হিমশিম খাচ্ছে তারা। বেতন না পেয়ে অনেক জায়গায় কর্মী বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে।

WB Police Recruitment 2024: লোকসভা ভোটের আগেই কি পুলিশে ১২ হাজার চাকরি
এর ফলে অস্বস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে প্রশাসনকে। এই ধরনের বেআইনি নিয়োগ বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় ভাবে কর্মীদের একটা ডেটাবেস তৈরি করে রাখতে চাইছে সরকার। যাতে কর্মীদের ভারসাম্য বজায় রাখা যায়। এভাবে এক ঢিলে দুই পাখি মারার পরিকল্পনা নিয়েছে নবান্ন। রাজ্য এই মুহূর্তে প্রায় সওয়া দু’লক্ষ স্থায়ী কর্মী রয়েছেন। এছাড়াও কন্ট্রাকচুয়াল, ক্যাজুয়াল, রিএমপ্লয়মেন্ট মিলিয়ে আরও দু’লক্ষ কর্মী কাজ করেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *