দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যে কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে ঘন কুয়াশায় চালকের ঠিক মতো সামনে দেখতে না পাওয়া, নিয়ম না মেনে গাড়ি চালানো ও চালকদের ক্লান্তি। এই সমস্যা ঠেকাতে যে যে রাস্তায় বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই এলাকার ট্র্যাফিক বিভাগের কর্তাদের নজরদারি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়াতে হবে স্পিড লিমিটার, স্পিড ব্রেকারের সংখ্যাও।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে যে এলাকায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে, তার মধ্যে অন্যতম, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, বাসন্তী হাইওয়ে, স্ট্র্যান্ড রোড, এসএন ব্যানার্জী রোড, গড়িয়াহাট রোড, বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, গুরুসদয় দত্ত রোড, হাজরা রোড, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, এপিসি রোড, বিটি রোড ও ডায়মন্ড হারবার রোড। গত শুক্রবার বাসন্তী হাইওয়েতে মোটরবাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক পথচারীর। চালক পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, কুয়াশার জন্য সামনে যে কেউ আছে, তা তিনি বুঝতেই পারেননি।
এই পরিস্থিতিতে পুলিশকর্তাদের বক্তব্য, কুয়াশা থাকলে অবশ্যই গাড়ির সব লাইট জ্বালাতে হবে। সেই সঙ্গে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে জানানো হয়েছে, রাতের দিকে কোনও চালক যাতে লেন বদল না করেন, সে দিকে নজর রাখতে হবে। সিগন্যাল ভাঙলে, হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও, দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাওয়া চালক এবং যাত্রীদের নিয়ে একটি টিম তৈরি করার কথাও জানানো হয়েছে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে।
টিমের সদস্যদের দিয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রচার করা হবে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘২০২২-এর তুলনায় ২০২৩-এ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে শহরে। এই বছর সেটা আমরা আরও কমাতে চাইছি। সেই লক্ষ্যে শুরু থেকেই দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে।’
