Rabindra Sarobar : পলি আর প্লাস্টিকে রবীন্দ্র সরোবর ঘিরে বাড়ছে চিন্তার কারণ – rabindra sarobar lake polluted over silt and plastic


শ্যামগোপাল রায়

প্লাস্টিক-সহ নানা বর্জ্য মেশার ফলে রবীন্দ্র সরোবরের জলে দূষণের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে বলে তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। কেএমডিএ সূত্রের খবর, রিপোর্টে বলা হয়েছে, জল দূষণ ছাড়াও রবীন্দ্র সরোবরের জলাশয়ে মাছ-সহ নানা জলজ প্রাণীর মারা যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো দীর্ঘদিন ধরে পলি না তোলা। পলির মধ্যে থাকা ধাতব এবং প্রাকৃতিক মৌলের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যার প্রভাবে খাবারের সমস্যা হচ্ছে জলজ প্রাণীদের। জলের দূষণ বাড়ায় ক্রমশ কমছে জলে অক্সিজেনের মাত্রা, তারতম্য ঘটছে তাপমাত্রার।

উম্পুনের পর থেকেই রবীন্দ্র সরোবরের জলাশয়ে লাগাতার মাছ মরার ঘটনা সামনে এসেছে। এরপরেই সরোবরের জল পরীক্ষা করানো হয়। ধরা পড়ে দূষণের মাত্রাবৃদ্ধির ছবি। সূত্রের খবর, জীববৈচিত্র পর্ষদের সাহায্য নিয়ে সরোবরের জল নিয়ে সম্প্রতি আরও একটি সমীক্ষা করেছে কেএমডিএ। সেখানেই পলি না তোলার কারণে কী কী সমস্যা হচ্ছে তা তুলে ধরা হয়েছে।

জীববৈচিত্র পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোককান্তি সান্যাল বলেন, ‘জলস্তর থেকে পলি দীর্ঘদিন না তোলার কারণে জলের নীচের স্তরের এক ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটিরিয়ার আধিক্য দেখা যায়। যারা জলের অক্সিজেন কমিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী। তা ছাড়া রবীন্দ্র সরোবরে মাইক্রো প্লাস্টিক পড়ছে না, তা তো নয়। প্লাস্টিক জলাশয়ের মাটিতে থাকা প্রাকৃতিক মৌল এবং রাসায়নিক মৌলের সংস্পর্শে আসায় জল আরও দূষিত হচ্ছে। এ সবের কারণেই মাছ-সহ বাকি জলজ প্রাণীর শারীরিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বংশবিস্তারেও প্রভাব পড়ছে।’

দীর্ঘদিন ধরে রবীন্দ্র সরোবরের দূষণ ঠেকাতে কাজ করা পরিবেশকর্মী সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘পলি না তোলার কারণে জলের উপরের স্তরের তাপমাত্রা যেখানে ৩৫ ডিগ্রি থাকছে, সেখানে নীচের তাপমাত্রা ৩০-এ পৌঁছে যাচ্ছে। যা একই থাকা উচিত। তাপমাত্রার তারতম্যের প্রভাব পড়ছে জলজ প্রাণী এবং উদ্ভিদদের শরীরে।’

Damodar River : দামোদরের পাড়ে পিকনিকে ছড়াচ্ছে দূষণ, বাড়ছে উদ্বেগ
২০১৮ সালে জাতীয় পরিবেশ আদালত পলি তোলার নির্দেশ দিয়েছিল। নিশ্চিত করতে বলেছিল প্লাস্টিক না পড়ার উপরেও জোর দেয় আদালত। কিন্তু পরিবেশকর্মীদের দাবি, পলি তো তোলা হয়ইনি, প্লাস্টিক-মুক্ত করার সদিচ্ছার অভাবও রয়েছে। সেইসঙ্গে জলস্তর লাগাতার কমছে। সেদিও কারও নজর নেই বলে দাবি সুমিতাদের।

এ প্রসঙ্গে কেএমডিএ-র এক কর্তা বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা যে সব সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন তা সমাধান কী ভাবে করা যায় তা নিয়ে খুব শিগগিরই বৈঠকে বসব। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *