School In West Bengal: ‘পিস্তল’ উঁচিয়ে স্কুলমাঠে দৌড় ছাত্রের, আতঙ্কে ছুটি পড়ুয়াদের – alipurduar school students panic over gun scare


এই সময়, আলিপুরদুয়ার: পরের দিন স্কুলের অ্যানুয়াল স্পোর্টস ডে। তাই শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা ব্যস্ত ছিলেন মাঠ সাজানোয়। চলছিল অনুশীলনও। তখন বৃহস্পতিবার বেলা একটা। হঠাৎই স্কুলের ক্লাস নাইনের এক ছাত্র অবিকল নাইন এমএম বোরের পিস্তল জাতীয় কিছু উঁচিয়ে স্কুলের মাঠে ছুটতে শুরু করায় চরম আতঙ্ক ছড়ায় আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থানার রায়চেঙ্গা বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলে। মুহূর্তেই স্কুলে হইচই পড়ে যায়। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

বিপদ আঁচ করে কয়েক জন শিক্ষক ওই ছাত্রের পিছনে ধাওয়া করলে, চোখের নিমেষে ছাত্রটি স্কুলের প্রায় ছয় ফুট দেওয়াল টপকে পালায় বলে অভিযোগ। পালানোর সময়ে স্কুলে ঢোকার মূল গেটের ডান পাশের ঝোপে পড়ে যায় ওই পিস্তল আকারের বস্তুটি। পরিস্থিতির বিচারে তড়িঘড়ি মিড-ডে মিল খাইয়ে ওই দিনের মতো বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় আতঙ্কিত ছাত্রছাত্রীদের। খবর চাউর হতেই স্কুলের সামনে হামলে পড়েন উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। গেটের পাশের ওই ঝোপটিকে কর্ডন করে রাখেন স্কুলের শিক্ষকরাই। খবর যায় ফালাকাটা থানায়।

ততক্ষণে অবশ্য প্রায় হাজার দেড়েক ছাত্রছাত্রীকে বাড়ি পাঠিয়ে স্কুল চত্বর ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ আধিকারিকরা ছুটে এসে নিশ্চিত করে যে, আদতে নাইন এমএম পিস্তলের আকারে দেখতে ওই বস্তুটি একটি সাধারণ গ্যাস লাইটার। তাতেও শিক্ষক মহলের আতঙ্ক যাচ্ছিল না। শেষে পুলিশ অফিসার প্রাণজিত ঘোষ হাতেকলমে ওই লাইটারটিকে পরীক্ষা করে দেখানোর পর হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন সবাই।

Bengali Medium School : দেওয়ালে ম্যাপ-মনীষীদের ছবি, অডিয়ো ভিজ্যুয়াল প্রজেক্টর! পান্ডুয়ার ‘স্মার্ট’ স্কুলে বাড়ছে পড়ুয়া
তবে ঘটনায় উদ্বিগ্ন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তরফে প্রশ্ন উঠেছে, নিছকই কি খেলার ছলে অভিযুক্ত ছাত্রটি ওই পিস্তলের মতো দেখতে গ্যাস লাইটারটি স্কুলে এনেছিল? নাকি স্কুলে আতঙ্ক তৈরি করার মতলব ছিল তার? স্কুল কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছেন যে, সম্প্রতি বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়ে অনলাইনে ওই গ্যাস লাইটার কিনেছিল ছাত্রটি। তার কাউন্সেলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুলশিক্ষক বলেন, ‘গ্যাস লাইটারটির আকার যেমন, তাতে রাতের অন্ধকারে কারও সামনে তাক করলে, সে তার সর্বস্ব দিয়ে দিতে বাধ্য। আমাদের উদ্বেগের জায়গাটি এখানেই।’ স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশ সরকার বলেন, ‘ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন এবং এই ধরনের আচরণ একেবারেই অনভিপ্রেত।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *