সূত্রের খবর, চেয়ারম্যান ছাড়াও পিএসসি-র একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা। কয়েক জন আধিকারিক নেই। নিয়োগ দুর্নীতির কারণে আগেই অপসারণ করা হয়েছে পিএসসি-র চেয়ারম্যানকে। তার পর দীর্ঘদিন আর ওই পদে নিয়োগ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পিএসসি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে অশান্তির পরেই রাজভবনে ‘পিস রুম’ চালু করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানান, রাজ্যে কোথাও কেউ আক্রান্ত হলে তিনি রাজভবনের পিস রুমে জানাতে পারেন। তার পর থেকে রাজভবনে খোলাই রয়েছে পিস রুম। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, পিস রুমে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে যে, পিএসসি-র চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ না-হওয়ায় যোগ্যরা চাকরি পাচ্ছেন না। পিএসসি-তে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রাজভবনের বিবৃতিতে।
যদিও রাজ্যপাল বোসের এমন উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা বলেছেন, ‘পিস রুমে কবে থেকে আবার অভিযোগ জমা পড়া শুরু হল? আসলে রাজ্যপাল সংবাদে ভেসে থাকার জন্যই এ সব কথা বলছেন।’ চন্দ্রিমার সংযোজন, ‘পিএসি-তে চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগের ব্যাপারে কখন পদক্ষেপ করতে হবে, সেটা রাজ্য সরকার ভালই জানে। তাই, এতে কারও পরামর্শ বা নির্দেশের প্রয়োজন নেই।’
