সম্প্রতি একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে এই সময় ডিজিটাল-এর তরফে প্রশ্ন করা হয়, ‘বিহারে এক লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী শিক্ষককে স্থায়ী করা হয়েছে। যদি বিহার পারে সেক্ষেত্রে বাংলা কেন পারবে না?’
এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই পারবে। সেক্ষেত্রে বিহারে যারা বিরোধী দল রয়েছে তাদের কাছে অনুরোধ করতে হবে যাতে তাঁরা মামলা করেন এবং সেক্ষেত্রে সবটা ভেস্তে যাবে। কারণ বাংলায় কোর্টে সমস্তটা আটকে যাচ্ছে। আমরা যদি নির্দেশ পাই তাহলে সাত দিনের মধ্যে নিয়োগ করিয়ে দেখিয়ে দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার পারে।’ ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি এসএলএসটির চাকরিপ্রার্থীরা দুই দফায় গিয়ে বৈঠক করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাঁদের নিয়োগ পদ্ধতি কতটা এগলো?
এই বিষয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘তা নির্ভর করছে আইনি পরামর্শ ও সুপ্রিম কোর্টের উপর। সুপ্রিম কোর্টে আমরা আইনজীবী মারফত কথা বলেছি। আমরা এখনও আশাবাদী।’
তবে TET এবং এসএসএসটি প্রার্থীদের আন্দোলনের কোনও প্রভাব লোকসভার ভোটবাক্সের উপর পড়বে না বলেই জানান তিনি। ব্রাত্য বসুর কথায়, ‘কোনও প্রভাব পড়ার কথা এক্ষেত্রে থাকছে না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুল স্বীকার করেছেন। তিনি পুরো বিষয়টি শুধরে নেওয়ার কথাও বলেছেন। আদালত নির্দেশ দিলে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করে দেখিয়ে দেবেন, তা বলেছেন তিনি। যাঁরা পথে বসে আছেন তাঁদের জন্য মমতা দি এবং আমরা প্রত্যেকেই খুব দুঃখিত। ওরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করে। অন্য কোনও রাজনীতিবিদের উপর সেই ভরসাটা নেই। কেউ কেউ অন্য পার্টি করে থাকতে পারে।’
পাশাপাশি আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই নিয়ে দেশজুড়ে সাজ সাজ রব। কিন্তু, রাম মন্দির উদ্বোধন বা সেই নিয়ে প্রচারের কোনও প্রভাব বাংলার উপর পড়বে না বলেই মনে করছেন ব্রাত্য বসু।