Graduation Exam,বোনের হয়ে কলেজে পরীক্ষা দিতে এসে পুলিশের জালে দাদা – malda police arrest a youth for college exam for his sister


এই সময়, মালদা: চাকরির পরীক্ষায় একজনের হয়ে আরেক জনের প্রক্সি দেওয়ার ঘটনা হামেশাই ধরা পড়ে। এক্ষেত্রে রীতিমতো সংঘটিত চক্র কাজ করে। কিন্তু কলেজ স্তরের পরীক্ষায় এমন জালিয়াতি! শুক্রবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় এমনই ঘটনা সামনে এল। চাঁচল কলেজে পাওয়া গেল ভুয়ো পরীক্ষার্থী। অ্যাডমিট কার্ড জাল করে মানিকচক কলেজের এক ছাত্রীর হয়ে পরীক্ষা দিতে বসে ধরা পড়লেন এক যুবক। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলিতে স্নাতক স্তরের পঞ্চম সেমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। চাঁচল কলেজে পড়েছে মানিকচক কলেজের পড়ুয়াদের সিট। এ দিন ছিল পাসকোর্সের বাংলা পরীক্ষা। ইনভিজিলেটররা পরীক্ষার্থীদের স্বাক্ষর করাতে গিয়েই গোলমালটা ধরে ফেলেন।

চাঁচল কলেজের অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাস জানিয়েছেন, পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বেশ কিছু সিকিউরিটি মেজার নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটি অ্যাটেন্ডেন্স শিটে পরীক্ষার্থীদের ছবি দেওয়া। অ্যাডমিট কার্ডের ছবির সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হয়। শুক্রবার ইনভিজিলেটররা অ্যাটেন্ডেন্স শিটে পরীক্ষার্থীদের স্বাক্ষর করানোর সময় খেয়াল করেন, এক জনের অ্যাডমিট কার্ডে পুরুষের ছবি থাকলেও অ্যাটেন্ডেন্স রেজিস্ট্রারে একটি মেয়ের ছবি রয়েছে।

অ্যাডমিট কার্ডের নামেও খটকা জাগে। কারণ পুষ্প ও পুষ্পার ইংরেজি বানান একই। তাই নাম দিয়ে বোঝা সম্ভব নয়, পরীক্ষার্থী ছেলে না মেয়ে। যুবক দাবি করেন, তিনিই আসল পরীক্ষার্থী। ছবির বিভ্রাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুলে হয়েছে। সেটা বিশ্ববিদ্যালয় জানে এবং সংশোধন করে দেবে।

অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ছেলেটির এই বক্তব্য সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামকের দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেখান থেকে আসল অ্যাডমিট কার্ডের কপি চাঁচল কলেজে মেইল করে পাঠানো হয়। দেখা যায়, তাতেও পুষ্পা চৌধুরী নামে এক ছাত্রীর নাম ও ছবি দেওয়া। এর পরেই চাঁচল থানায় খবর পাঠিয়ে ছাত্রটিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আইলাইনার-লিপস্টিক লাগিয়ে প্রেমিকার হয়ে পরীক্ষার হলে যুবক! তারপর যা হল…
পরে পুলিশের কাছে যুবক জানান, তাঁর নাম সিদ্ধার্থশঙ্কর দাস। পুষ্পা চৌধুরী তাঁর বোন। পুষ্পা অসুস্থ থাকায় তিনি নিজে পুষ্প চৌধুরী সেজে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, এটা কোনও সংগঠিত চক্র কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিশ্বরূপ সরকার বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম। তাই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃত যুবকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা পুলিশ নেবে। আপাতত আসল পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রীটি এই বছরে বাকি পরীক্ষাগুলিতে বসতে পারবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *