সূত্রের খবর, শুক্রবার কালীঘাটের দলের বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি হুমায়ুন কবীরের নাম করে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিনি যেন সংবাদমাধ্যমের সামনে বেশি কথা না বলেন। কিন্তু ঘরের ভিতরে ওই বৈঠক পর্যন্তই! মমতার বাড়ি থেকে বেরিয়েই ফের সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন হুমায়ুন। আর তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবারও স্বকীয় মেজাজে হুমায়ুন কবীর।
এবার সরাসরি দলের নবীন প্রজন্মের একাংশকে নিশানা করলেন ভরতপুরের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘কোনও চ্যাং ব্যাং, ২৭ – ২৮ বছরের ছেলেরা ৬০, ৬২, ৭০ বছরের নেতৃত্বকে অবহেলা করবে, তাঁদের কর্তৃত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জ করবে, ভুল ট্রিটমেন্ট করা, মূল্যায়ন করা, মেনে নেওয়া যায় না। সে সব মানব না!’
নবীনদের একাংশকে নিশানা করলেও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের প্রতি অবশ্য অগাধ আস্থা প্রদর্শন করেছেন হুমায়ুন। তিনি বলেন, ‘অভিষেক সত্যিই যোগ্য নেতৃত্ব হয়ে উঠেছেন, তিনি শুধু ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ নন, রাজ্যের ২ নম্বর। মমতার পরেই তাঁকে মানি।’ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আনুগত্য প্রকাশ করলেও হুমায়ুনের সাফ কথা, তাঁকে চমকিয়ে-ধমকিয়ে কোনও লাভ নেই। তিনি বহিষ্কার বা সেই ধরণের কোনও শাস্তির ভয় পান না।
এবার প্রশ্ন উঠছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি যদি তিনি অনুগত থেকেই থাকেন, তাহলে ‘চ্যাং ব্যাং’ বলতে ঠিক কাকে বা কাদের বোঝাতে চাইলেন হুমায়ুন কবীর? এক্ষেত্রে একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে, সম্প্রতি বিভিন্ন জেলায় ব্লক স্তরে সভাপতি ও সহসভাপতি পদে রদবদল ঘটিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাদ যায়নি মুর্শিদাবাদও। তাহলে কি সেই বিষয়ে নিজের অসন্তোষ এইভাবে প্রকাশ করলেন হুমায়ুন? প্রসঙ্গত, এর আগে নিজের মন্তব্যের জন্য বিভিন্ন সময় সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন হুমায়ুন কবীর়। তাঁর মন্তব্য বিভিন্ন সময় অস্বস্তিতে ফেলেছে দলকে। এমনকী তার জন্য শোকজও করা হয়েছে তাঁকে। সেক্ষেত্রে এবার দেখার, তাঁর এই নয়া মন্তব্য কোন দিকে মোড় নেয়?