এই বিষয়ে সৌরভ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আজ আমরা রাম মন্দিরের পথে রওনা দিচ্ছি। সঙ্গে আমার বন্ধু রাজা ঘোষ। একটা শুভ দিনে আমরা উপস্থিত থাকার চেষ্টা করব। আজ ২০ তারিখ। আমাদের যেতে হবে সব মিলিয়ে ৭৫০ থেক ৮০০ কিলোমিটার রাস্তা। আমরা আশা করি, ঠিকঠাক সময়ে পৌঁছে যেতে পারব। আমাদের প্রচুর উৎসাহ, আর পানগড়ের দাদারা ভীষণ সাপোর্টও করেছে। সকলের সাপোর্টে আরও বড় বড় রাইড করতে চাই।’
এর আগে, উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার সৌমিক গোলদার এবং রাকেশ মণ্ডল নামে দুই বন্ধু সাইকেলে চেপে রাম মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেন। তার মধ্যে সৌমিক গোলদারে মাস সাতেক আগে অস্ত্রোপচারে একটি পা বাদ যায়। তারপরেও তাঁরা বেরিয়ে পড়েন রাম মন্দিরের পথে। গত ২০২০ সালে ডান পায়ে টিউমার ধরা পড়ে সৌমিকের। ভেলোর সিএমসি-তে চিকিৎসা করিয়ে তখনকার মত সুস্থ হয় তাঁর ডান পা। এরপর গত বছর স্কুটার দুর্ঘটনায় পায়ে বসানো স্টিলের প্লেট থেকে ফের সংক্রমণ ছড়ায়। আবারও ভেলোরে চিকিৎসা করাতে যান সৌমিক গোলদার। সাত মাস আগে হাঁটুর নীচ থেকে পা বাদ দিতে হয় তাঁর। কিন্তু এই প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও রাম মন্দিরের সূচনা লগ্নে সেখানে উপস্থিত থাকার পরিকল্পনা করেন সৌমিক।
এই প্রসঙ্গ সৌমিক জানান, প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটর করে চালিয়ে রাম মন্দিরে পৌঁছনোর পরিকল্পনা করেন তাঁরা। ক্যাম্প, গরম পোশাক ও অন্যান্য সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে রাম মন্দিরে উদ্দেশে বেরিয়েছেন তাঁরা। এতটা পথ অতিক্রম করার জন্য অবশ্য সৌমিককে প্রথমে ছাড়ছিলেন না তাঁর বাড়ির লোকেরা। পরে অবশ্য তাঁদের বুঝিয়েই শ্রীরামের প্রতি ভক্তি নিয়ে অযোধ্যার পথে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা।