Ram Mandir : শ্রীরামের প্রতি অন্তরের টান, ৮০০ কিমি পেরিয়ে বাইকে অযোধ্যা চললেন পানাগড়ের ২ যুবক – panagarh 2 young boy going ayodhya ram mandir by bike


মাঝে আর মাত্র একদিন, তারপরেই শুভ উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। দেশজুড়ে চলছে উৎসবের মেজাজ। আর তারই সাক্ষী থাকতে শনিবার কাঁকসা থানার পানাগড়ের দার্জিলিং মোড়ের হনুমান মন্দির থেকে দুই বন্ধু বাইক নিয়ে রওনা দিলেন অযোধ্যার উদ্দেশে। দুই বন্ধু সৌরভ মুখোপাধ্যায় ও রাজা ঘোষের বাড়ি ত্রিলোকচন্দ্রপুর গ্রামে। দু’জন যুবকই বেসরকারি সংস্থার কর্মী। অন্তর থেকে তাঁরা রাম ভক্ত। কোনও রকম রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। এবার শুধুমাত্র শ্রীরামের টানের রওনা দিলেন অযোধ্যা। হাইস্পিড বাইক নিয়ে এদিন যাত্রা শুরু করেন তাঁরা।

এই বিষয়ে সৌরভ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আজ আমরা রাম মন্দিরের পথে রওনা দিচ্ছি। সঙ্গে আমার বন্ধু রাজা ঘোষ। একটা শুভ দিনে আমরা উপস্থিত থাকার চেষ্টা করব। আজ ২০ তারিখ। আমাদের যেতে হবে সব মিলিয়ে ৭৫০ থেক ৮০০ কিলোমিটার রাস্তা। আমরা আশা করি, ঠিকঠাক সময়ে পৌঁছে যেতে পারব। আমাদের প্রচুর উৎসাহ, আর পানগড়ের দাদারা ভীষণ সাপোর্টও করেছে। সকলের সাপোর্টে আরও বড় বড় রাইড করতে চাই।’

এর আগে, উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার সৌমিক গোলদার এবং রাকেশ মণ্ডল নামে দুই বন্ধু সাইকেলে চেপে রাম মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেন। তার মধ্যে সৌমিক গোলদারে মাস সাতেক আগে অস্ত্রোপচারে একটি পা বাদ যায়। তারপরেও তাঁরা বেরিয়ে পড়েন রাম মন্দিরের পথে। গত ২০২০ সালে ডান পায়ে টিউমার ধরা পড়ে সৌমিকের। ভেলোর সিএমসি-তে চিকিৎসা করিয়ে তখনকার মত সুস্থ হয় তাঁর ডান পা। এরপর গত বছর স্কুটার দুর্ঘটনায় পায়ে বসানো স্টিলের প্লেট থেকে ফের সংক্রমণ ছড়ায়। আবারও ভেলোরে চিকিৎসা করাতে যান সৌমিক গোলদার। সাত মাস আগে হাঁটুর নীচ থেকে পা বাদ দিতে হয় তাঁর। কিন্তু এই প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও রাম মন্দিরের সূচনা লগ্নে সেখানে উপস্থিত থাকার পরিকল্পনা করেন সৌমিক।

Ram Mandir Ayodhya : রামের আরাধনা করেই পুত্র সন্তান লাভ, বাঁকুড়ার মুখোপাধ্যায় পরিবারেও পুজোর জোর প্রস্তুতি
এই প্রসঙ্গ সৌমিক জানান, প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটর করে চালিয়ে রাম মন্দিরে পৌঁছনোর পরিকল্পনা করেন তাঁরা। ক্যাম্প, গরম পোশাক ও অন্যান্য সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে রাম মন্দিরে উদ্দেশে বেরিয়েছেন তাঁরা। এতটা পথ অতিক্রম করার জন্য অবশ্য সৌমিককে প্রথমে ছাড়ছিলেন না তাঁর বাড়ির লোকেরা। পরে অবশ্য তাঁদের বুঝিয়েই শ্রীরামের প্রতি ভক্তি নিয়ে অযোধ্যার পথে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *