সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেন তিনি। তাঁকে প্রণাম করে গুরুদেব বলায় শাসকদল তৃণমূলের অন্দরে চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে। দল বিরোধী কাজের জন্য তার বিরুদ্ধে কাঁথি পুরসভার ১৬ জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর চেয়ারম্যান সুবল মান্না আইনের দ্বারস্থ হন।
তিনি জানান, আমার অপরাধটা কী দলের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। কিন্ত কোনও উত্তর পাইনি। দলের শীর্ষ কর্তাদের জানিয়েছি। কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়ায় আইনের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। বিচারপতি অমৃত সিনহার এজলাসে মামলাটি উঠেছে। আগামী সোমবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে৷ আইন আইনের পথে চলবে। আইনের উপর আমরা ভরসা রয়েছে। সুবল বলেন, ‘দলের তরফে আমাকে কোনও বার্তা বা চিঠি দেওয়া হয়নি। আমি বরং দলের কাছে অনুরোধ করেছি, ক্ষমাভিক্ষা চেয়েছি।… আজ আমি দলের কাছে ব্রাত্য।’
কাউন্সিলররা তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার পরেও একাধিক কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ করে কথা বলার চেষ্টা করেন সুবল। কিন্তু, অনেকেই ফোন তোলেনি, কোনওরকম যোগাযোগ রক্ষা করেননি বলে দাবি তাঁর। উলটে, পুরসভায় উপ পুরপ্রধান মিটিং ডেকেছেন। বিষয়টি আইনের অধীনে থাকায় এই বৈঠক করার প্রয়োজনীয়তা নেই বলেও মনে করছেন পুরপ্রধান। দলের কাউন্সিলররা কেন তাঁর বিরুদ্ধে অনস্থা আনল? কী তাঁর দোষ? সেই সম্পর্কে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি সুবলের।
সুবল আরও বলেন, ‘আমি মানসিক যন্ত্রণায় রয়েছি। আমি ভেবেছিলাম, আগামী পাঁচটা বছর দলের হয়ে কাজ করে কাটাব। কিন্তু, এখন আইন যা বলবে, যা নির্দেশ দেবে সেটাই আমি মেনে চলব।’ অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে তিনি একদা তিনি আইনি পথে লড়লেও আজকে ‘এই প্রতিদান পেলাম’ বলে আক্ষেপ পুর প্রধানের। প্রসঙ্গত, সোমবার এই মামলার শুনানি রয়েছে। পাশাপাশি, মামলার কপি সমস্ত কাউন্সিলরদের দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবারে হওয়া চেয়ারম্যান রিমুভ্যাল মিটিংয়ের স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট।