Durgapur Sub Divisional Hospital : দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নয়া ওপিডি, বাড়ছে বেডও – durgapur sub divisional hospital new opd department inaugurates today


দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে প্রতিদিই বাড়ছে রোগীর চাপ। জরুরি বিভাগের সামনে এতটাই ভিড় হচ্ছিল যে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তাই রোগীর পরিবার থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, প্রত্যেতেই একটা ফাঁকা জায়গায় বড় করে ওপিডি চালু করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত তাঁরই বন্ধু শিল্পপতি সন্দীপ দে-কে এই বিষয়টি জানিয়েছিলেন। আর তারপরেই উখড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী স্বর্গীয় বলরাম দে-র দুই পুত্র সন্দীপ দে ও বিশ্বরূপ দে বাবার স্মৃতিতে সিএসআর প্রজেক্ট-এর মাধ্যমে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করে নতুন এক ওপিডি বানিয়ে দিলেন। রবিবার সেই নয়া ওপিডি-র উদ্বোধন করেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক ও প্রদীপ মজুমদার। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দুই মন্ত্রী।

এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘আমি বলরাম দে-কে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম। ওঁর যে গ্রাম, সেটাই আমার জন্মস্থান। প্রথমে তিনি শিক্ষক ছিলেন। পরে বাণিজ্যে আসেন এবং নিজ গুণে প্রতিষ্ঠা পান। ওঁর মধ্যে সমাজসেবার যে মানসিকতা ছিল, সেটা তাঁর ছেলেদের মধ্যে এসেছে, এটা দেখে আনন্দিত।’

মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘এই হাসপাতালে সরকার, অনেকরকম ভাবে পরিষেবা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। নতুন ডায়ালিসের ব্যবস্থা হয়েছে। নতুন ডিজিটাল এক্স রে, সিটি স্ক্যান, ১০০ বেড বাড়ান হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাইরের অনেকেও এগিয়ে এসেছেন। তবে স্থানীয়রা এগিয়ে আসায়, বাকিদের ওপরেও প্রভাব পড়বে।’ একই সঙ্গে হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসকের কোনও অভাব নেই বলেও জানিয়ে দিলেন প্রদীপ মজুমদার।

এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক, দুর্গাপুরের মহাকুমা শাসক, দুর্গাপুরের পুর প্রশাসক – সহ আরও বিশিষ্টরা ব্যক্তিত্বরা। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক – সহ হাসপাতাল সুপার। সোমবার থেকে এই ওপিডি চালু হয়ে যাবে। আর নতুন ওপিডি চালু হওয়ায়, পুরনো ওপিডি-তে মহকুমা হাসপাতালে বেড সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অনেকটা জায়গা পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা আরও উন্নত করার জন্য লাগাতার বিভিন্ন পদক্ষেপ করতে থাকে সরকার। তারপরেও বাড়তি রোগীর চাপে কখনও কখনও পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই জায়গা থেকে এই ধরণের উদ্যোগ চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *