এদিন সকাল থেকে শহরের দুই জায়গায় ব্যাঙ্ক প্রতারমা মামলায় তল্লাশি চালাচ্ছে ED। সূত্রের খবর, দিল্লিতে একটি ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় ইডি আধিকারিকদের এই তল্লাশি অভিযান চলে। চিনার পার্ক সংলগ্ন পিএস এভিয়েটর বিল্ডিংয়ের পাঁচতলার একটি অফিসে তল্লাশি অভিযান চালান আধিকারিকরা। তবে রবিবার ছুটির দিন ছিল। এদিন অফিস বন্ধ ছিল। তাই দীর্ঘক্ষণ বাইরেই অপেক্ষা করতে হয় তদন্তকারী আধিকারিকদের।
পাশাপাশি গ্রিনউড হাউসিং কমপ্লেক্সের একটি ফ্ল্যাটেও একই মামলায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটটি ঋষি সিং নামক এক ব্যক্তির যিনি ইমপোর্ট এক্সপোর্ট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাতে দেখা যায় ED-কে। পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু এবং রাজ্যের অপর বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা।
দীর্ঘ সময় ধরে চলে তল্লাশি। পরবর্তীতে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজিত বসু বলেছিলেন তাঁর দুর্নীতির কোনও তথ্য সামনে এলে তিনি পদত্যাগ করবেন। অন্যদিকে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণের কথা বলেছিলেন রাজ্যের শাসক দলের নেতারা।
শুধু তাই নয়, সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন ED আধিকারিকরা। কিন্তু, সেখানে গিয়ে তাঁর বাড়িতে একাধিকবার ডাকাডাকি করলেও কেউ দরজা খোলেননি। শেষমেশ দরজা ভাঙতে যান সিআরপিএফ আধিকারিকরা। কিন্তু, সেই সময়ই তেড়ে আসেন শাহজাহানের অনুগামীরা।
অভিযোগ, শাহজাহানের অনুগামীরা ED আধিকারিকদের উপর হামলা করেন। শুধু তাই নয়, তিন জন ED আধিকারিক এতে গুরুতর আহতও হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় ওঠে নিন্দার ঝড়। ঘটনায় অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান এখনও বেপাত্তা। সন্দেশখালির ঘটনায় তদন্তের জন্য একটি বিশেষ টিম গঠন করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই এবং পুলিশ যৌথভাবে এই টিমে থেকে তদন্ত করবে বলে জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি শেখ শাহজাহানের বাড়ির মাথার উপর লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। যদিও সন্দেশখালির এই দোর্দান্তপ্রতাপ নেতার এখনও কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।