IAS Neha Banerjee: বেসরকারি কোম্পানিতে কাজের ফাঁকে-লাঞ্চ ব্রেকে পড়াশোনা! IAS নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাহিনি জানেন – khatra sdo neha banerjee shares how she balance her musical journey with upsc preparation


সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে নেটিজেনদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছেন খাতড়ার মহকুমাশাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদবপুরের বাসিন্দা এই মেধাবী ছাত্রী IIT-র প্রাক্তনী। একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত অবস্থাতেই নিয়েছিলেন UPSC-র প্রস্তুতি। অফিসের লাঞ্চ ব্রেকে তিনি খুলে বসতেন বই, প্রস্তুতি নিতেন সিভিল সার্ভিসের। শনি-রবি দ্বিগুণ পরিশ্রম। ১২ ঘণ্টা পড়াশোনার মধ্যে ডুবে থাকতেন তিনি। তাই আর ‘রিস্টার্ট’ মন্ত্র তাঁর প্রয়োজন হয়নি। একবারের প্রচেষ্টাতেই UPSC-তে সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি। আর নিজের সাফল্যের আগে লড়াইয়ের সেই অধ্যায় ভাগ করে নিলেন এই সময় ডিজিটাল-এর সঙ্গে।

যাদবপুরেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই কৃতীর। পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁর গানের গলাও মুগ্ধ করত অনেককেই। একটি সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি স্কুলে পড়াকালীন গান শিখেছিলেন। পরে অবশ্য পড়াশোনার চাপে আর তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। খড়গপুর IIT-তে পড়াশোনা করার সময় তিনি একটি গানের ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হন।

সুর সাধনার পাশাপাশি চলে পড়াশোনাও। তিনি পড়াশোনা শেষ করার পর নয়ডাতে একটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করতে শুরু করেন। কিন্তু, পাখির চোখ ছিল UPSC। নামী সংস্থায় কাজ সঙ্গে প্রস্তুতি, এক মুহূর্ত সময়ও নষ্ট করা যাবে না, বুঝেছিলেন তিনি।

তাই প্রস্তুতি চলত লাঞ্চ ব্রেকেও। শনি-রবি ছুটির দিনগুলিতেও চলত কঠোর অধ্যাবসা। ১২ ঘণ্টা নিজেকে ডুবিয়ে রাখতেন তিনি। প্রথমবার UPSC-তে বসেই সাফল্য পেয়েছেন তিনি। কিন্তু, বহুজাতিক সংস্থার মোটা বেতনের চাকরি ছেড়ে কেন তিনি সিভিল সার্ভিসের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লেন?

এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এই সরকারি আধিকারিক জানান, মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ চেয়েছিলেন তিনি। যা UPSC দেওয়ার পর অনেকটাই,সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করছিলেন তিনি।

প্রশাসনিক কর্মব্যস্ততার মাঝেও কী ভাবে তিনি রোজ রেওয়াজ করেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রেওয়াজ নিয়মিত করা হয় না, গান ভালোবেসে করি। প্রশাসনিক কাজটাই আমি প্রাধান্য দিই। বিষ্ণুপুর মেলায় গান করার আগে এক ঘণ্টা অভ্যাস করেছিলাম। মুকুটমপুর মেলার ক্ষেত্রে সেই সুযোগটাও হয়নি।

তাঁর এই গান চর্চার পিছনে মায়ের ভূমিকাই অনেকটা বেশি, জানান তিনি। মায়ের উৎসাহে গান শোনা ও গান চর্চা চলে। তবে বাঁকুড়ায় আসার পর ঝুমুর ও টুসু গানের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে তাঁর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *