WB Government Jobs : পঞ্চায়েতে ৭ হাজারের বেশি পদে নিয়োগ, পরীক্ষার জন্য ফি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্যের – wb panchayat recruitment 2024 no application fees will be taken from the candidate


সম্প্রতি ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে নিয়োগের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সাত হাজার ২১৬টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে, জানানো হয়েছিল এমনটাই। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই চাকরি সংক্রান্ত জারি করা হবে। তবে এবার প্রার্থীদের কথা মাথায় রেখে বড় সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। জানা গিয়েছে, এই পরীক্ষার্থীদের ফর্ম ফিল আপ করার জন্য কোনও ফি দিতে হবে না। যাতে বেশি সংখ্যক যুবক যুবতী কোনও আর্থিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন না হয়ে পরীক্ষায় বসতে পারেন, সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে? জানা গিয়েছে, একাধিক পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। এই পদগুলি হল গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী, পঞ্চায়েত সেক্রেটারি এবং নির্মাণ সহায়ক। পাশাপাশি আরও একাধিক পদে নিয়োগ করা যাবে।

পঞ্চায়েত সমিতিতে ৫৪৬টি পদে নিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে ক্লার্ক, টাইপিস্ট, ব্লক ইনফর্মেশন অফিসার এবং পিওন। পাশাপাশি জেলা পরিষদ অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র ও গ্রুপ ডি সহ একাধিক পদে নিয়োগ করা হতে চলেছে। ফলে মাধ্যমিক পাশ থেকে শুরু করে যাঁরা ইঞ্জিনিয়ার তাঁদের সকলেই আবেদন করতে পারবেন।

সাধারণত, এই ধরনের চাকরির ক্ষেত্রে ৩০০ থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা ফি নেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু, কোনওভাবেই যাতে এক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যা কোনও মেধাবীর কাছে পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধার কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সেই কারণে এই পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে।

কোন কোন ধাপে হবে পরীক্ষা? প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, দুটি ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এক্ষেত্রে থাকছে লিখিত পরীক্ষা এবং সঙ্গে থাকছে একটি কম্পিউটার টেস্টও। ডিএলএসসি দায়িত্বে থাকবে প্রশ্ন তৈরি থেকে শুরু করে OMR শিট তৈরির। লাখ লাখ পরীক্ষার্থী এই পদগুলির জন্য আবেদন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য রাজ্যের কোটি কোটি টাকা খরচ হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য একটি নিয়োগ পোর্টালও তৈরি করা হয়েছে রাজ্যের তরফে। বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট পোর্টালে গিয়ে করা যাবে আবেদন। সেখান থেকে তাঁরা অ্যাডমিট কার্ডও ডাউনলোড করতে পারবেন।

পুরসভায় গ্রুপ ডি নিয়োগে বড় বদল! বিরাট পদক্ষেপ নবান্নের
সম্প্রতি নিয়োগে অস্বচ্ছতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছিল। স্বাভাবিকভাবেই এক্ষেত্রে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করাই প্রশাসনের কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। আর সেই জন্যই প্রযুক্তির উপর নির্ভরতা বাড়ানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *